‘যে প্রবাসীদের টাকায় বাংলাদেশ চলে সেই প্রবাসীদের এখন বাঁশ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসীরা যদি ব্যাংকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় অচল হয়ে যাবে বাংলাদেশ।’ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের নিয়ে ফেসবুকে এমন একটি বার্তা ভাইরাল হওয়ার পর তা নিয়ে সতর্ক করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। তিনি প্রবাসীদের ভাইদের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৭ জুন সংসদে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর সরকার ট্যাক্স বা ভ্যাট বসাচ্ছে-এমন তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আবার প্রবাসীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এক পোস্টের বার্তা ছিল এমন- ”যে প্রবাসীদের টাকায় বাংলাদেশ চলে সেই প্রবাসীদের এখন বাশঁ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসীরা যদি ব্যাংকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় অচল হয়ে যাবে বাংলাদেশ। এই কথাটা বলা যদিও ঠিক না তার পরও বলতে বাধ্য হচ্ছি। অন্যান্য দেশে সরকার চায় তার দেশের মানুষ বেশি করে টাকা পাটাক বেশি করে টাকা পাঠানোর জন্য তাদের উৎসাহ দেয় আর আমাদের দেশের সরকার বলে মাসে ২১,০০০ টাকার বেশি পাঠালে টেক্স দিতে হবে। অপরাধ মানুষ ইচ্ছে করে করে না কিছু কিছু মানুষের জন্য মানুষ অপরাধী হয়। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো ছাড়া অন্য রাস্তাও আমাদের জানা আছে। ঘরে গিয়ে দিয়ে আসবে টাকা ব্যাংকে গিয়ে লাইন দরতে হবে না। সরকার যদি আমাদের সাথে এমন করে আমাদেরও বিকল্প রাস্তা ধরতে হবে। আমাদের টাকায় দেশ চলে আর আমাদের পিছনে বাশঁ দেয় সরকার। মন্ত্রীদের ৭৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল দেয় সাথে মাসে ১৫ হাজার টাকা করে মোবাইলের ব্যালেন্স হয় দেয়।সকল প্রবাসীদের এক হয়ে তার প্রতিবাত করতে হবে ব্যাংকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিতে হবে। অন্তত ৩/৪ মাস ব্যাংকে টাকা না পাটালে সরকার বুজতে পারবে প্রবাসীরা কি। সকল প্রবাসী কে এক হতে হবে। প্রবাসে যারা থাকে তারা জানে টাকা কামানো কত কষ্ট। ১০০০ দেরহাম বেতন হলে ৫০ দেরহাম এই দেশের সরকার কে টেক্স দিতে হয়। আবার দেশে টাকা পাঠাতে গেলে ২০ দেরহাম চার্চ দিতে। সব মিলিয়ে থাকে কত। তার উপর যদি দেশের সরকার জুলুম করে তা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার বাজেট ঘোষণ করার পর কিছু কিছু লোক আনন্দন মিছিল করে হায়রে বাংলাদেশর মানুষ কি বলব বলেন। আমি আগামী ৪ মাস ব্যাংকে টাকা পাঠাব না আমার সাথে কে কে একমত আছেন?” (হুবহু ফেসবুক পোস্ট)।
আরেকটি পোস্টে ছিল- আরব আমিরাত দুবাই থেকে আমি এল আর রুবেল। “যদি কোন প্রবাসী বছরে আড়াই লাখ টাকার বেশী আয় করে তবে তাকে কর দিতে হবে” যদি একথা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে খুব খারাপ হবে- ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রবাসী ভাইয়েরা কিছু বলেন-
ফেসবুকে প্রবাসীদের আয়ের ওপর কর বসানো নিয়ে এমন বার্তা ছড়িয়ে পড়ার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলছেন, প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের ওপর কোনো ভ্যাট বসানো হয়নি।
তিনি আজ বুধবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, প্রবাসী ভাইয়েরা গুজবে কান দেবেন না। এই বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের উপর কোন ভ্যাট বা ট্যাক্স আরোপ করা হয়নি। এরকম কোন আলোচনাও কোথাও হয়নি। পরিকল্পিত ভাবে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা অবৈধ পথে যারা প্রবাসীদের আয় পাঠানোর ব্যবসা করেন তাদের কাজ হতে পারে, আর সেই সাথে সরকার বিরোধীরা তো রয়েছেই। দয়া করে প্রবাসীদের মাঝে এই বার্তাটা ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।