প্রবাসী বাংলাদেশিরা ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে টাকা জমা রাখতে পারবেন। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি সব নাগরিক অর্থাৎ সব প্রবাসী তাদের উপার্জিত অর্থের বিপরীতে কিনতে পারবেন এই বন্ড। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড রুলস-১৯৮১ অনুযায়ী বন্ড কিনতে কোনও বাধা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত অনুযায়ী বিদেশে অবসস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক অর্থাৎ প্রবাসী সকল বাংলাদেশি রেমিট্যান্স আহরণকারী ও প্রেরণকারী (চাকরিজীবি বা ব্যবসায়ী) তাদের উপার্জিত অর্থের বিপরিতে এ বন্ড কিনতে পারবেন।
জানা গেছে, বিদেশে অবস্থান করেন এমন যেকোনও বাংলাদেশি প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ করে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা নিতে পারেন। এর সবই বাংলাদেশ সঞ্চয় অধিদফতরের চালু করা বন্ড। ১৯৮৮ সালে চালু হওয়া ৫ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ২০০২ সালে চালু হওয়া ৩ বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বিনিয়োগ করে এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
এসব বন্ড বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, দেশি ব্যাংকের বিদেশি যেকোনও শাখা এবং বাংলাদেশের ব্যাংক শাখায় পাওয়া যায়। এতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ে করমুক্ত সুবিধা মেলে। আবার এর বিপরীতে দেশি ব্যাংক থেকে ঋণও পাওয়া যায়।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ৫ বছর মেয়াদি। এই বন্ডে ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যায় ১২ শতাংশ। প্রতি ৬ মাস পরপর মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে। ৮ কোটি টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করলে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যাবে।