Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাড়ছে হজের খরচ

hajj-flightচলতি বছরের হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। গত বছরের চেয়ে এবার হজের ব্যয় বাড়ছে। প্রস্তাবিত হজ ‘প্যাকেজ-১’-এ জনপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা, যা গত বছর ছিল তিন লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৫ টাকা। ‘প্যাকেজ-২’-এ তিন লাখ চার হাজার ৯০৩ টাকা, যা গত বছর ছিল দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। এর বাইরে সব হজযাত্রীর কোরবানি বাবদ ব্যয় ধরা হচ্ছে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। এবার এক লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন বাংলাদেশি হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। আগামী ৩০ মের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা নিশ্চিত করতে হবে। ৩০ হাজার টাকায় চার মাস অগ্রিম নিবন্ধনের বিধান রেখে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ প্যাকেজ, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালা-২০১৪ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

সরকারি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানতে চাইলে এ বিষয়ে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, ‘হজ প্যাকেজ এবং হজ ও ওমরাহ নীতিমালা চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা উপস্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।’

chardike-ad

ধর্ম মন্ত্রণালয়ে একটি সূত্র জানায়, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর চলতি বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি হজযাত্রী ও বেসরকারি হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে এ দুটি প্যাকেজ প্রযোজ্য। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ আট হাজার ৮৬৮ ব্যক্তি হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। গত বছরের চেয়ে এবার পাঁচ হাজার ২৫৫ টাকা বেশি প্রস্তাব করে প্যাকেজ-১ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে খরচ হবে তিন লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা। আট হাজার ৬৯৭ টাকা বেশি প্রস্তাব করে প্যাকেজ-২ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে খরচ পড়বে তিন লাখ চার হাজার ৯০৩ টাকা। আগের মতোই মোয়াল্লেম ফি ২৪ হাজার টাকা বহাল রাখা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঠানো হজযাত্রীদের বাড়ি-হোটেলের মান ও সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা (যদি থাকে) তা ফেরত দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি উভয় হজযাত্রীদের সৌদি সরকারের অনুমোদিত ক্যাটারিং কোম্পানির মাধ্যমে তিনবেলা খাবার সরবরাহ করা হবে।

সংশোধিত হজ ও ওমরাহ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি হজ এজেন্সিকে টাকা জমাদানকারী হজযাত্রীর তালিকা, বিমান ভাড়া, খাওয়া খরচ ও মোয়াল্লেম ফিসহ অন্যান্য ফি সম্ভাব্য ব্যয়ের পুরো টাকা নির্ধারণ করতে হবে। এর পর আগামী ৩০ মের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রস্তাবিত হজ ও ওমরাহ নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিটি হজ এজেন্সিকে নিজ নামে সৌদি আরবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সৌদি অ্যারাবিয়ান মনিটরিং অথরিটির (সামা) বিধান অনুযায়ী হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া, খাবারসহ সব ধরনের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক পরিশোধ করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর জন্য মক্কায় অবশ্যই একই বাড়ি বা হোটেলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সি কর্তৃক ঘোষিত হজ প্যাকেজ কোনোভাবেই সরকারের ঘোষিত প্যাকেজের চেয়ে কম হতে পারবে না। সরকারের মতো তাদেরও দুটি প্যাকেজের ঘোষণা দিতে হবে।

প্রস্তাবিত হজ নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে প্রাক-হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। হজযাত্রী হিসেবে নিবন্ধিত হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই মেশিন রিডেবল পাসপোর্টধারী (এমআরপি) হতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হজ পালনের মাসটি বাদ দিয়ে কমপক্ষে ছয় মাস হতে হবে। বাংলাদেশি কোনো নাগরিক বিদেশি পাসপোর্ট নিয়ে হজে যেতে পারবেন না। যেসব হজযাত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি, তাদের নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তাদের অভিভাবকের সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদের কপিসহ আবেদন করতে হবে। এসব তথ্য সরকার-সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান তদন্ত করবে। হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসক, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পৌর ডিজিটাল সেন্টার, সিটি করপোরেশন ডিজিটাল সেন্টার, ঢাকাস্থ হজ অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও হজ এজেন্সির কার্যালয় থেকে প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন। সরকার নির্ধারিত ফি ও অগ্রিম জামানত নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমাদানকারীকে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক নম্বর দেওয়া হবে।