রোববার নতুন বছরের উৎসবে সামিল হতে ইস্তাম্বুলের ওরতাকয় এলাকার ‘রেইনা নাইটক্লাবে’ প্রায় ৭০০ মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। রাত দেড়টা নাগাদ সান্তাক্লজের পোশাক পরে সেখানে প্রবেশ করে এক সশস্ত্র জঙ্গি।
নাইটক্লাব ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সে। ঘটনাস্থলেই ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। হামলার খবর পেয়েই নাইটক্লাবটি ঘিরে ফেলে পুলিস। কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর হামলাকারীকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী জানিয়েছেন, সিরিয়ার আলেপ্পোয় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের জেরেই এই হামলা বলে গুলি চালানোর সময় চিৎকার করে জানিয়েছিল হামলাকারী।
ইইস্তান্বুলের গভর্নর ভাসিপ সাহিন জানিয়েছেন, “নতুন বছররে উৎসবে সামিল হতে ওই ক্লাবে ভিড় জমিয়েছিন সাধারণ মানুষ। তখনই অস্ত্র হাতে চড়াও হয় জঙ্গিরা। নিরীহ মানুষদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।”
হামলার তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের উপ মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা তুরস্কের পাশে আছি। জঙ্গিরা নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে, এটা খুবই লজ্জাজনক।”
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই তুরস্কে রুশ রাষ্ট্রদূতকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আলেপ্পোয় রাশিয়ার মধ্যস্থতার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে হামলাকারী।