Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তাঁকে যৌনদাসী বানায় ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ!

jesmin-abusolin
জেসমিন আবুসলিন

যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস করে মামলা ঠুকে দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার এক তরুণী। অপ্রাপ্ত বয়সে তাঁকে জোর করে যৌনদাসী হিসেবে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ১৯ বছরের ওই তরুণী।

ব্রিটিশ অনলাইন ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসমিন আবুসলিন নামের ওই তরুণী অকল্যান্ড পুলিশের একজন বার্তা বাহকের মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার তিনি ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। তাঁর অভিযোগ, ছোটবেলা থেকে ডজন খানেকের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা জোর করে তাঁকে শয্যাসঙ্গিনী করে রেখেছেন। শহরের পুলিশি নিরাপত্তায় পুলিশ কর্মকর্তারা এ কাজ করেন।

chardike-ad

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে জেসমিনের এটি দ্বিতীয় অভিযোগ। এর আগে তিনি অকল্যান্ড পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। কিন্তু সে সময় ৮ কোটি ২ লাখ ৬২ হাজার টাকার (৯ লাখ ৮৯ হাজার ডলার) বিনিময়ে মামলা আপস করে নিয়েছিলেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসমিন আবুসলিন এবার ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। রিচমন্ডের ওই ছয় কর্মকর্তা তাঁকে যৌনদাসী করে রাখতে ছোটবেলায় পাচার করেছিলেন। বর্তমান পুলিশ প্রধান অলউইন ব্রাউন ও সাবেক পুলিশ প্রধান ক্রিস ম্যাগনাস পুলিশ কর্মকর্তাদের এ অপকর্ম রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জেসমিনকে সেলেস্তে গুয়াপ নামে শিশু যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য তাঁকে ‘অনন্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌনতায় বাধ্য হওয়ার জন্য তাঁকে অর্থ, নিরাপত্তাসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো।

জেসমিনের আইনজীবী জন বারিস বলেন, ‘এটা ভয়াবহ ঘটনা। পুলিশ কর্মকর্তারা একটি শিশুর কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন। মানসিক সমস্যায় ভোগা মেয়েদের সহযোগিতা করার বদলে তাঁরা অসহায়ত্বের অবৈধ সুযোগ নেন।’

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, অকল্যান্ড পুলিশের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রিচমন্ডের ১১ জন পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে বরখাস্তের সুপারিশ, একজনের পদাবনতি, দুজনকে ৮০ ঘণ্টা ও ১২০ ঘণ্টার বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে। পাঁচজনকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী জন বারিস বলেন, আলমেদা কাউন্টি শেরিফ অফিস, কন্ট্রা কোস্টা কাউন্টি শেরিফ বিভাগ, লিভারমোর পুলিশ বিভাগ ও সানফ্রান্সিসকো পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধেও মামলা করার পরিকল্পনা করছেন জেসমিন।

জেসমিন আবুসলিন অভিযোগ করেন, শহরের এক ডজনের বেশি মানুষের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে। অকল্যান্ড পুলিশের এক কর্মকর্তা তাঁর দালাল হিসেবে কাজ করতেন। তিনিই হোটেল ঠিক করাসহ কী পোশাক পরে যেতে হবে, তা ঠিকঠাক করে দিতেন।

এ ব্যাপারে রিচমন্ড পুলিশের মুখপাত্র লে. ফেলিক্স কোনো মন্তব্য করেননি। গত শুক্রবার তাঁর কাছে একটি ই-মেইল বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগের অকল্যান্ড পুলিশের কেলেঙ্কারির ঘটনায় বর্তমান সাত কর্মকর্তা ও একজন সাবেক কর্মকর্তা জড়িত। একজন দোষও স্বীকার করেন। প্রথম আলো