Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
death-body
ফাইল ছবি

‘দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ-সম্পদ দু-ই মিলে’ স্লোগানে এ বছর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি ও দুবাই কনসুলেট অফিস। সম্প্রতি দূতাবাস কার্যালয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরহাদ হোসেনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান।

দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মুহাম্মদ আবদুল আলিম মিয়ার পরিচালনায় ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ও প্রবাসীকল্যাণ সচিবের বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের উপমিশন প্রধান মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লেবার কাউন্সিলর মুহাম্মদ, আবদুল আলিম মিয়া ও প্রথম সচিব রেয়াজুল হক।

chardike-ad

অনুষ্ঠানে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ সালের দূতাবাসের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন লেবার কাউন্সিলর আবদুল আলিম মিয়া। তিনি বলেন, আমিরাতে যারা বিভিন্ন কারণে আটকে আছেন তাদের দেশে পাঠাতে বা মুক্ত করতে এ বছর প্রায় ১৫০ বার আমিরাতের জেল ভিজিট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৪২৪৮ জন নাগরিকের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছে। সরকারি খরচে ২৫ জনকে দেশে পাঠানো হয়েছে। এ বছর ১৩৪ জন প্রবাসী মারা গেছেন। তার মধ্যে ৪৪ জনকে সরকারি খরচে দেশে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। তাছাড়া কেউ মারা গেলে মরদেহ দেশে পাঠাতে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা দূতাবাসের সেবা চালু রয়েছে বলেও জানান লেবার কাউন্সিলর।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি ও ঘোষণা দেয়া ছাড়া ভিজিট ভিসায় দেশ থেকে তাদের আত্মীয়স্বজনকে আসতে না দেয়াসহ বিমানবন্দরের বিভিন্ন অনিয়মের তীব্র প্রতিবাদ করেন প্রবাসীরা।

এছাড়াও মাঠপর্যায়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন ও খোঁজ-খবর নিতে দুটি মোবাইল টিম গঠন এবং দূতাবাসে লোকবল বাড়ানোর আহ্বান করেন প্রবাসীরা। রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান প্রবাসীদের সব প্রশ্নের উত্তর দেন এবং আমিরাতে অবস্থানরত সাড়ে সাত লাখ প্রবাসীকে অভিবাসী দিবসের শুভেচ্ছা জানান।