করোনা ভাইরাসে পঞ্চম ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় লাল সতর্কতা বা রেড এলার্ট জারি করেছে সরকার। সামনের দিনগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৬। দায়েগু শহরে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। সেখানে জনগণ যখন নিজেদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন প্রেসিডেন্ট এমন ঘোষণা দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা ইয়ানহ্যাপকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন গার্ডিয়ান। আজ রোববার রাজধানী সিউলে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট মুন। সেখানে তিনি বলেছেন, সতর্কতার লেভেল এক মাত্রা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ‘লাল’ বা রেড সতর্কতায় উন্নীত করা হচ্ছে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে।
তিনি বলেছেন, এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে অপ্রত্যাশিত শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কারো দ্বিধান্বিত হওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে বিধিবিধানের দিকে তাকানো যাবে না। সেখানে নতুন আক্রান্ত ১২৩ জনের মধ্যে ৭৫ জনই দেশটির চতুর্থ বৃহৎ শহর দায়েগুর শিনচেওনজি চার্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কোরিয়া সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলেছে, তারা শিনচেওনজি সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ৯০০০ মানুষকে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইরে রেখেছে। চার্চে প্রার্থনা করতে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষকে ভাইরাস স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার করোনা কবলিত ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরী থেকে একজন নারীকে বেরিয়ে আসার অনুমোদন দেয়া হয়। শনিবার তার দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর ফলে সেখানে করোনা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় জাপান সরকারের একজন মন্ত্রী ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দায়েগু এবং এর সংলগ্ন এলাকা চিওংডোকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতেও ভাইরাসের সংক্রমণ থামানো যাচ্ছে না। শুধু শনিবারেই সেখানে দ্বিগুণ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে।