‘দীর্ঘ পাঁচ বছর সৌদিতে থাকার পর দেশে এসেছি। পরিবার নিয়ে সৌদিতে যাওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছিলাম। সবই ঠিকঠাক ছিল। সৌদি এয়ারলাইনস বুধবার রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইট। তবে সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সি ও সৌদিতে বসবাসরত অনেকেই বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার মাধ্যমে সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু দুইদিন ঘোরাঘুরি করেও সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারিনি। আমাদের পরীক্ষাই করছে না।’
সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আইইডিসিআর কার্যালয়ের নিচে আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আসা নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মহাখালীর আইইডিসিআরতে কয়েক দিন এসে কথা বলেছি। প্রতিষ্ঠান বলছে, সৌদি এয়ারলাইন্স বা মন্ত্রণালয় থেকে এরকম কোনো নির্দেশনা আসেনি।’
শুধু নুরুল ইসলামই নন, সৌদি থেকে ছুটিতে এসে কর্মক্ষেত্রে ফেরার বিড়ম্বনায় পড়েছেন বরিশালের হাবিব, সাভারের মোসাম্মৎ আসমা আক্তারের মতো অসংখ্য বিদেশগামী বাংলাদেশি। বরিশাল থেকে আসা হাবিব বলেন, ‘আজ (সোমবার) রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সে সৌদি যাওয়ার কথা। সৌদিতে অবস্থানরত বন্ধুবান্ধব বলছে, করোনা ভাইরাসের সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এটা আমি এখনো জোগাড় করতে পারিনি। সৌদি গিয়ে যদি আবার ফিরে আসতে হয় তাহলে সবই শেষ হয়ে যাবে।’
সাভার থেকে আসা মোসাম্মৎ আসমা আক্তার বলেন, ‘সৌদিতে যে জায়গায় কাজ করি, ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন করে করোনা ভাইরাসের সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি কয়েকদিন এসেছি। কিন্তু সার্টিফিকেট কোথা থেকে দেওয়া হয় সেটা এখনো জানতে পারিনি।’
আইইডিসিআর থেকে বলা হয়, অতীত ইতিহাস জেনে যদি আমাদের কনফিউজ হয় তাহলে আমরা করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করি। আইইডিসিআরের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়ে থাকে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান ‘করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি’ এই মর্মে সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবে। তবে আইইডিসিআর থেকে এমন কোনো সার্টিফিকেট দেওয়া হয় না।’