যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩৫টি অঙ্গরাজ্যে বসবাসকারী লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি এবারের বাংলা বর্ষবরণের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলেন। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দুই শতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পূর্ব ঘোষিত বাংলা বর্ষবরণ কর্মসূচি স্থগিত করেন।
করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও অন্যদের বাঁচাতে দেশটির ৫০ অঙ্গরাজ্যে গণজমায়াত নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সবকিছুর মতোই মানুষের আনন্দকেও থামিয়ে দিয়েছে মহামারি করোনা। ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে এখন বাঙালিয়ানা আর বাঙালির রঙিন সাংস্কৃতিক চর্চার কথা বলছে না কেউ।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় চার লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি নিজ নিজ ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। অফিস আদালতসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই প্রবাসীরা স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। সীমিত কিছু সংখ্যক মানুষ যারা অতি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করেন শুধু তারাই কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
প্রতিবছর শুধু নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেই প্রায় অর্ধশত মঞ্চে বাংলাবর্ষবরণ পালন করে থাকেন প্রবাসীরা। আয়োজকরা বাধ্য হয়েই এসব অনুষ্ঠান স্থগিত করেছেন। এ ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও বাংলা বর্ষবরণসহ সবধরনের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন নিউইয়র্কে। এ অঙ্গরাজ্যে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭৮৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িছে ১০ হাজার ৮৪২ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখেরও বেশি মানুষ। এরপর নিউজার্সিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৩৪ জন, মারা গেছেন ২ হাজার ৮০৫ জন।
এদিন আক্রান্তের সংখ্যায় মিশিগানকে টপকে তৃতীয়স্থানে উঠে এসেছে ম্যাসাচুসেটস। এ অঙ্গরাজ্যটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজারের বেশি, মারা গেছেন ৮৪৪ জন। মিশিগানে ২৫ হাজার আক্রান্ত ও ১ হাজার ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লেকজক- কৌশলী ইমা, যুক্তরাষ্ট্র