Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

qatar-monirবুকভরা স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি। মা-বাবা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ের সুখের জন্য ৬ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ কাতারে আসেন মনির হোসেন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাস জীবনের স্বপ্ন এক নিমিষেই চুরমার হয়ে যায় তার। দুর্ঘটনায় হারান দুটি পা।

জানা গেছে, মনির হোসেন (৩০), বাবা আমির হোসেন, বাড়ি নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জে। ৬ বছর আগে একবুক আশা নিয়ে প্রবাস জীবন শুরু করেন। করোনা পরিস্থিতির আগে সদ্য বিবাহ করে দেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে এসেছেন। তিনি জানতেন না তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ানক বিপদ। জানলে হয়তোবা ফের কাতারে আসতেন না।

chardike-ad

গত ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় কাতারের আলখোর এলাকায় একটি রেস্তোরাঁ থেকে নাস্তা করে বাসায় ফেরার পথে এক জর্ডানি নাগরিকের গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে যায়। দোকানের কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও মনির হোসনের দুইটি পা ভেঙে যায়। প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দুই পা হারিয়ে জর্ডানি নাগরিকের দেওয়া ক্ষতিপূরণের ১ কোটি টাকা নিয়ে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশে ফিরবেন।

জর্ডানি নাগরিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি টাকার বেশি আদায় করে দিয়েছেন তার প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ভিশন কোম্পানি’র বাংলাদেশি স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ হারুন রশীদ। কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর ড. মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান পা হারানো মনির হোসেনকে দেখতে গিয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে জানান। পাশাপাশি কাতার প্রবাসী বাংলাদেশির একে অন্যান্যের বিপদে এগিয়ে আসার ও আহ্বান জানান দূতাবাস এ কর্মকর্তা।

ক্ষতিপূরণের এক কোটি টাকা দিয়ে হয়তোবা পরিবারের চাহিদা কিছুটা মিটবে। কিন্তু মনির হোসেনকে সারাজীবন পঙ্গু অবস্থায় থাকতে হবে। প্রবাস জীবনে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে এসে এভাবেই থেমে যান মনির হোসেনরা।