Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় মাস্ক ব্যবহার না করলে জরিমানা

korea-coronaদক্ষিণ কোরিয়ায় মাস্ক ব্যবহার না করলে এখন থেকে জরিমানা গুণতে হবে। দেশটিতে নতুন করে আরও ২০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের পর এটাই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার কোরিয়া ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন এজেন্সি (কেডিসিএ) জানিয়েছে, মাস্ক না পরলে জরিমানার বিধান কার্যকর হয়েছে।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৬৬ জন স্থানীয় নাগরিক এবং ৩৯ জন বহিরাগত। স্থানীয়দের মধ্যে নতুন সংক্রমণের ৬৫ শতাংশের বেশি রাজধানী সিউল এবং গিয়ংগি প্রদেশের।

chardike-ad

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই দক্ষিণ কোরিয়ায় এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সে সময় চীনের পর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়।

তবে কয়েক মাসের প্রচষ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। ফলে দেশটিতে কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আবারও বিধি-নিষেধ বাড়ানো হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইন প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকারকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলকসহ বেশ কিছু বিধি-নিষেধের বিষয়ে নির্দেশিকা জোরদার করেছেন তিনি।

সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে মুন বলেন, ‘আমরা এক একটি পরিস্থিতিতে আছি যেখানে ভ্রমণ এবং বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে বৈঠক বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক কোয়ারেন্টাইনের বিভিন্ন ধাপ মেনে চলাটা একটু কঠিন হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের নিরাপত্তা এবং কোয়ারেন্টাইনের বিভিন্ন নিয়মগুলোকে গুরুত্ব না দেই তবে আমাদের কর্মক্ষেত্র এবং দৈনন্দিন জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতি এবং দুর্দশার মুখোমুখ হবো আমরা।’

লোকজনকে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। উন্মুক্ত স্থানে মাস্ক ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলে জরিমানা দিতে হবে। শুক্রবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

যে কোনো নাইটক্লাব, শপিংমল, পার্ক, হেয়ার সেলুনে মাস্ক ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলে ৮৯ দশমিক ৭৫ ডলার জরিমানা গুনতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৮ হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৯২ জন।

তবে দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ হয়ে উঠেছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৫ হাজার ৬৩৬ জন। বর্তমানে সেখানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২ হাজার ২১০টি। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৫৪ জন।