দীর্ঘ প্রায় দুই বছর নিষেধাজ্ঞার কবলে আটকে থাকার পর (বুধবার) ২২ ডিসেম্বর রাত ৯টার ফ্লাইটে ৬৬ জন বাংলাদেশি ইমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। জানা গেছে, কোরিয়ান জিন এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ১৮ জন নতুন ইপিএস কর্মী এবং ৪৮ জন কমিটেড এন্ট্রি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে।
তবে এর আগে চলতি মাসের ৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে FJ702 নং চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ৪৫ জন জেনারেল ইপিএসকর্মী নিয়ে প্রথম ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছিল। তাই আটকেপড়া রিএন্ট্রি কমিটেড কর্মীদের প্রথম ফ্লাইট এটি।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কমিটেডসহ জেনারেল কর্মীদের সাতদিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। গতকাল সকালে জেনারেল কর্মীদের থেকে শেষবারের মতো পিসিআর টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সবার করোনা টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ হওয়ায় ফ্লাইটের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, দক্ষিণ কোরিয়াগামী ইপিএস কর্মীসহ সকল বাংলাদেশিরা যদি এভাবে আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সঙ্গনিরোধ সম্পন্ন করে এবং কেউ কোনো রকম খাদ্য সামগ্রী বহন না করে তাহলে নতুন বছরের আগামী দিনগুলো ইপিএসকর্মী তথা বাংলাদেশিদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসবে এবং প্রতি ফ্লাইটে আমাদের ইপিএস কর্মী সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।
দীর্ঘ বিরতির পর স্বপ্নের দক্ষিণ কোরিয়া যাত্রা সফল হতে চলেছে এ বিষয়ে আজকের ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়াগামী বাংলাদেশ ইপিএস কর্মী ইয়াসির হামিদ কাউসার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে এই পর্যন্ত আসতে পারলাম। বাকি পথ আল্লাহর জিম্মায়। এ বিষয়ে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি।