Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

আগামীকাল বাংলাদেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ঢাকার মতো দেশের বিভিন্ন জেলার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরকমই একটি ঈদগাহ হচ্ছে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দান।

 

chardike-ad

দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দান ১৯৪৭ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই এখানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ছয় লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে এখানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়।

বরাবরের মতোই এই জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী। এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাতের বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এসময় সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।

দিনাজপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে, পুরো ঈদগাহ জুড়ে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে। সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ পথ দিয়ে আসবেন। মোট ১৯টি গেট মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুধুমাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করবেন মুসল্লিরা। থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।

৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ঈদগাহ ময়দান জুড়ে মনিটরিং করা হবে। মাইক বসানো হবে ১১০টি। এছাড়া ইমাম সাহেবকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে ৫ শতাধিক মুক্বাবির নিয়োজিত থাকবেন। স্বাস্থ্য ক্যাম্প, ওজু করতে যেন অসুবিধা না হয় এজন্য ২৫০টি ওযুখানা এবং খাবার পানির ব্যবস্থা রাখা হবে।

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে ২০১৫ সালে স্থায়ী ঈদগাহ ময়দান নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ৫২ গম্বুজের বিশাল ঈদগাহ মিনার। প্রায় ২২ একর আয়তনের এ বিশাল ঈদগাহে দিনাজপুরসহ পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও জয়পুরহাট জেলার লাখ লাখ মুসল্লি ঈদুল ফিতরের জামাতে শরিক হবেন বলে আশা আয়োজকদের। দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা এবং পরিকল্পনায় দৃষ্টিনন্দন ঈদগাহ মিনার ও ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়। ৫২ গম্বুজের ঈদগাহে ২ প্রান্তের মিনার ৬০ ফুট এবং মাঝখানের ২টি মিনার ৫০ ফুট উচ্চতার। ইমাম দাঁড়ানোর স্থান মেহরাবের গম্বুজের উচ্চতা ৪৭ ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়াও ৫১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে।