বুধবার । জুন ২৫, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার জাতীয় ২৬ মে ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন
শেয়ার

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ


সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

গতকাল রোববার (২৬ মে) সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারির পরের দিন আজ সোমবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের ভেতরে এক জায়গায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এর আগে এ অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় সচিবালয়ের নিরাপত্তার জোরদার করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সচিবালয়ে।

অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সচিবালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

এর আগে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা জানান, বেলা ১১টার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই এক জায়গায় জড়ো হওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনও হচ্ছে সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংযুক্ত পরিষদের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা হবে এবং এটা যদি মাঠে নেমে, দফতরের দাঁড়িয়ে না করা যায়, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন কর্মকর্তারা। সরকার এভাবে একটি আইনকে নিবর্তনমুলক করতে পারে না।’

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদের মধ্যেই গতকাল রোববার সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।

নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারীর ‘অসদাচরণ’ প্রমাণিত হলে কেবল নোটিশ জারির মাধ্যমেই তাকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিত, চাকরি থেকে অপসারণ অথবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।

এদিকে বিক্ষোভরভ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

রোববার সচিবালয়ে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া কর্মচারীদের একটি সংগঠনের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারের উচিত ছিল নিবর্তনমূলক আইন করার আগে, মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশে ওঠার আগে আলোচনা করা। সেটি না করে সরকার এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মচারীদের এ ধরনের আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার শক্ত অবস্থান নিতে আইনে এই পরিবর্তন আনল। এই আইনের ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা জোটবদ্ধভাবে দাবি-দাওয়া করতে পারবেন না। সমাবেশে অংশগ্রহণ, জরুরি হলেও ছুটি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। ফলে অধস্তনরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত, সুপারিশ দেওয়া সংক্রান্ত ‘সরকারি কর্মচারীগণের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি’ পুনর্গঠন করেছে।