
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সারা দেশে পালন করা হচ্ছে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক। শোক উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণের শুরুতেই তিনি ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, “ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের এই অমর সৈনিককে মহান রাব্বুল আলামিন শহিদ হিসেবে কবুল করুন- এই দোয়া করি। তার প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওসমান হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছে। এরপর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। আজ জোহরের নামাজের পর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাকে সমাহিত করা হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। প্রথমে ঢামেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের পাশাপাশি হত্যাকারীদের বিচারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

































