শুক্রবার । ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজধানী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৫৬ অপরাহ্ন
শেয়ার

ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ


Demo-for-Hadi

জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে শুরু হয় এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।

বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের’ দাবি জানানো হয়।

কর্মসূচির শুরুতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দেন। এর মধ্যে ছিল- ‘আমি কে তুমি কে, হাদি হাদি’, ‘আমার সোনার বাংলায়, খুনি লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব’ ইত্যাদি।

একই সময়ে খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখাও বায়তুল মোকাররম এলাকায় আলাদা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। সেখানেও হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং দায়ীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান ও বক্তৃতা দেওয়া হয়।

বিক্ষোভকারীরা দ্রুত বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিও জানান। এ সময় বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

হাদির মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সিদ্ধান্ত জানান। তিনি আরও বলেন, ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্রই পালন করবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আগামীকাল বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোথায় দাফন করা হবে- সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে দুর্বৃত্তের গুলিতে মাথায় গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই, বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সরা।

জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে আলোচিত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার, সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের পাশাপাশি জনগণের মাঝে গভীর শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।