
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিক্ষোভের মধ্যে হেনস্তার শিকার হয়েছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর। শুক্রবার রাতে বিক্ষুব্ধদের অগ্নিসংযোগ ও অবরোধের সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে তাকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভিড়ের মাঝে নূরুল কবীরকে ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে এবং কেউ তার মাথার চুল ধরে টানছে। ঘটনার পর সাংবাদিক মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে।
এদিন ডেইলি স্টারের পাশাপাশি প্রথম আলোর ভবনের সামনেও বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
খ্যাতনামা এই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান অনেকেই। সাবেক সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ লিখেছেন, ‘নূরুল কবীর বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় বীরযোদ্ধা। হাসিনার অজস্র হুমকির মুখেও কোনোদিন সত্য কথা বলা বন্ধ করেননি। আজ গণমাধ্যমের ওপর দঙ্গলবাজির প্রতিবাদে একাই হাজির হয়েছিলেন। রক্তপিপাসু দঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘কবীর ভাই, ডাক দেবেন! আপনার ডাকে যেকোনো জায়গায় যাবো। আমাদের একজন কবীর ভাই আছেন, দঙ্গলকে ভয় করি না।’
সাংবাদিক রাজিব আহাম্মদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘নুরুল কবির শুধু সাংবাদিক নন, সাহসী মানুষ। ওয়ান-ইলেভেন থেকে শেখ হাসিনার আমল পর্যন্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও সত্য বলেছেন। তার সম্পাদিত নিউ এজে মানবাধিকার রক্ষায় অসংখ্য প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আজ তাকে ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে “আওয়ামী লীগ” বলে গালি-গালাজ করা হলো। এরা সেই উগ্রবাদী গোষ্ঠী, যারা দেশের ভালো চায় না। হাদির শাহাদাতের শোককে ধ্বংসযজ্ঞে ব্যবহার করে নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা চলছে।’
নুরুল কবীরের ওপর এই হামলার ঘটনার পর সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে এ ধরনের হামলা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।


































