Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশে সরকারি অফিসে ‘ফাঁকিবাজি’ বন্ধে আইন হচ্ছে

bd-govবাংলাদেশে সরকারি অফিসে নির্ধারিত সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নীতিমালা কঠোর হচ্ছে। আগামীটে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী পর পর দু’দিন বিলম্বে অফিসে আসলে, অফিস শেষের আগে চলে গেলে কিংবা বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একদিনের বেতন কাটা হবে। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী পুনরায় একই অপরাধ করলে সাত দিনের মূল বেতন কাটা হবে।

উল্লেখিত বিধানসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে প্রথমবারের মতো সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) আইন-২০১৪-এর খসড়া তৈরি করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শীঘ্রই চিঠিটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। প্রশাসনের প্রত্যাশা আইনটি প্রণয়ন হলে একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর অফিস ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমবে। কাজকর্মে অগ্রগতি হবে।

chardike-ad

সরকারি অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে উপস্থিতির বিষয়ে উদাসীনতা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এ চিত্র বেশি। গ্রামাঞ্চলের হাসপাতালে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। সচিবালয়সহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সরকারি অফিসেও কর্তব্যরতদের খুঁজে পাওয়া দায়। আবার একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী দেরিতে অফিসে এলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে অফিস শেষ হওয়ার আগে বাসায় চলে যান। এতে সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। কর্মস্থলে অবস্থান না করা ও অফিস ফাঁকি দেওয়ার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে কাজে আসা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অফিসের উপস্থিতি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন থাকলেও তা উপেক্ষা করা হচ্ছে।