Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১১ হাজার মোবাইল চুরি হলেও নীরব বিমান

airport-bangladeshহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমদানি কার্গো ভিলেজের গুদাম থেকে কয়েক দফায় প্রায় ১১ হাজার মোবাইল হ্যান্ডসেট চুরি হলেও নীরব ভুমিকা নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ রাখ রাখ ঢাক ঢাক ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

কার্গো ভিলেজ থেকে এসব মোবাইল হ্যান্ডসেট চুরির বিষয়টি প্রথম নোটিসে আসে গত ১৮ জুন। ওই দিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কমাশির্য়াল অফিসার (আমদানি) মির্জা হাসান তারিক এক বার্তায় ঢাকা কাস্টমসকে জানান, বিমানের গুদাম থেকে ৩ দফায় ৬ হাজার ৭৯৪টি মোবাইল হ্যান্ডসেট চুরি হয়েছে। এছাড়া ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যে বিমান বাংলাদেশের গুদাম থেকে ২২ ব্র্যান্ডের আরো ৪ হাজারের বেশি মোবাইল ফোন চুরি হয়।

chardike-ad

কিন্তু এ নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের যেনো সাত চড়েও রা নেই। বরং বিষয়টি এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করছেন তারা।

শুধু তাই নয়, শাহজালাল বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের অবহেলায় বৃষ্টিতে ও রোদে পড়ে থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি পণ্য নষ্ট হচ্ছে। কার্গো গোডাউন, ওয়ারহাউস ও ক্যানোপি থেকে রানওয়ে পর্যন্ত অবহেলা আর অযত্নে স্তূপ হয়ে পড়ে আছে আমদানি করা মূল্যবান মালামাল। এর ফলে কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে আমদানিকারকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এয়ারক্রাফট থেকে যাত্রীদের লাগেজ হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত উপকরণও নেই বিমানের। এছাড়া বিমানের অনুমোদিত কোনো সাংগঠনিক কাঠামোও নেই। ফলে দেদারছে জনবল নিয়োগের মাধ্যমে একদিকে হচ্ছে দুর্নীতি, অন্যদিকে লুফে নেওয়া হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। আবার দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতির সঙ্গে সঙ্গে চোরাচালানে বিমানকর্মীদের সংশ্লিষ্টতায় বিমানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

বিমানের কার্গো থেকে মোবাইল চুরিসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার বিষয়ের বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম মোসাদ্দিক আহমেদ জানান, চুরি হওয়া মোবাইলগুলো অনেক পুরনো। সেগুলো উদ্ধারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিমানের এসব অব্যবস্থাপনার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিমানের চেয়ারম্যান বা এমডির সঙ্গে কথা বলেন। এটা তাদের জানার কথা। বাংলানিউজ