Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উচ্চশিক্ষায় যেতে পারেন চীনে

renmin-university-chinaদেশ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করে অনেকেই স্বপ্ন দেখেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের। আর উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ থাকে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। কিন্তু এসব দেশে স্কলারশিপ পাওয়া যেমন কঠিন তেমনি থাকা খাওয়াও ব্যয়বহুল। ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায়। তবে সত্যিকার অর্থেই যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী, তাদের জন্য ইউরোপ-আমেরিকার বিকল্প হতে পারে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অনেক শিক্ষার্থীই স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাচ্ছেন চীনে। কারণ লেখা-পড়া শেষ করে স্থায়ীভাবে বসবাসেরও সুযোগ রয়েছে সেখানে।

chardike-ad

বিশ্ববিদ্যালয়ের মান: চীনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের। তাদের লেখা-পড়ার মানও বিশ্বমানের। বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং অনেক এগিয়ে। এখানকার শিক্ষকরাও বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি তুলনামূলক বেশি যত্মশীল।

স্করারশিপের ধরন: প্রতিবছরই চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাচেলর, মাস্টার্স, এবং পিএইচডির জন্য স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে স্কলারশিপ ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি, হোস্টেল ফি, মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আবার টিউশন ফি এবং হোস্টেল ফি দিয়ে থাকে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ৪ বছরের টিউশন ফি দেয়। অন্য খরচ শিক্ষার্থীকেই বহন করতে হয়।

স্কলারশিপের শর্ত: যে সব বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি, হোস্টেল ফি এবং মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে, তাদের কিছু শর্ত থাকে। এ সব শর্তের মধ্যে ক্লাসে ৯০ শতাংশ উপস্থিতিসহ কোন বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া যাবে না। আবার বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে সকল বিষয়ে কমপক্ষে ৭০-৮০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে যারা মনে করেন এ সব শর্ত মানা খুবই কঠিন, তাদের জন্য রয়েছে আনকন্ডিশনাল স্কলারশিপ।

স্কলারশিপ পেতে চাইলে: চীনে স্কলারশিপ পেতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় লাইসেন্সকৃত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। এরপর ৭-১০ দিনের মধ্যে এডমিশন লেটার এবং ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চায়না সরকারের অনুমতি পত্র পাওয়া যায়।

স্কলারশিপ পাবেন: সাধারণত চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইঞ্জিনিয়ারিং রিলেটড বিষয়গুলোতে বেশি স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো-কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটারিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম।

তবে বাণিজ্য অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোতেও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক স্কলারশিপ দিচ্ছে চীন। এর বাইরে অর্থনীতি এবং ইংরেজি বিষয়েও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ দিচ্ছে।

পার্ট-টাইম জব: ইউরোপ-আমেরিকার মতো চীনেও অনেক পার্ট-টাইম জব রয়েছে। তবে পার্ট-টাইম জব করতে হলে সর্বপ্রথ চাইনিজ ভাষা শেখা জরুরি। ভাষা শেখা হলে বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারাই পার্ট-টাইম জব ম্যানেজ করে দেয়। আর যদি কোনো শিক্ষার্থী নিজে নিজে জব ম্যানেজ করতে পারে, তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হয়।

চীনে জীবনযাপন: চীনে থাকা খাওয়ার খরচ প্রায় বাংলাদেশের মতোই। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই হোস্টেলে রান্না করে থাকে। খাবার খরচ সব মিলিয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজারে হয়ে যায়। যারা প্রথম চীনে যাবেন, তাদের জনন্য চাইনীজ খাবার খাওয়া কষ্টসাধ্য হবে, তাই নিজেরা বাজারে গিয়ে মাছ, মুরগি, গরুর মাংস, ডিম, শাক-সবজি এনে রান্না করে খেতে পারেন। এতে খরচও কম পড়বে, আবার বাঙালি খাবারও খাওয়া যাবে।