Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে দালালিকালে প্রতারক আটক

malaysia-muzammelমালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে দালালি করতে গিয়ে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক নাম এক প্রতারক আটক হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। মোজাম্মেলের বাড়ি চট্টগ্রামে।

মিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেতরে লেবার কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের কক্ষে ‘কই ফরিদ, ফরিদ কই, ওই ফরিদ? উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে।

chardike-ad

এ সময় স্থানীয় ভূমি জেরনি সেন্ডিরিয়ান বারহাদ নামক কোম্পানির পরিচালক এ কুমার তার সঙ্গে ছিলেন। তিনিও নিজেকে কোম্পানিটির পরিচালক বলে পরিচয় দেন। কিন্তু কোম্পানির প্রোফাইলে মোজাম্মেল নামক কোনো পরিচালকের নাম পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহ বাড়তেই থাকে। তখন কোম্পানির পরিচালককে জিজ্ঞেস করা হলে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ১৫০ জন কর্মী এনে দেবে- এর বিনিময়ে তাকে পরিচালক করার প্রক্রিয়া চলছে।

দূতাবাস সূত্রে জানান গেছে, ভূমি জেরনি সার্ভিস কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে ১৫০ জন ক্লিনার পদে লোক আনার অনুমতি পেয়েছে এবং ১৮ জানুয়ারি অনলাইনে দূতাবাসের পোর্টালে এসেছে। এখন দূতাবাস ওই কোম্পানিতে আসলেই কাজ আছে কি-না, ১৫০ জন লোক লাগবে কি-না, থাকার কী ব্যবস্থা, বেতন-ভাতা ঠিকমতো দেয় কি-না এসব যাচাই করে অনুমতি দেবে। তার আগেই বাইপাস করে বা প্রেসার দিয়ে কাজ করানোর চেষ্টা করছেন তারা।

এর আগে তিনি দূতাবাসে ২য় সচিব (শ্রম) ফরিদ আহমেদকে ফোনে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির নাম করে চাপ সৃষ্টি করেন। তবে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা মোজাম্মেল নামে ওই লোককে চেনেন না।

এ বিষয়ে প্রবাসী কমিউনিটি ও আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান জানান, মোজাম্মেল দূতাবাসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে দূতাবাস মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে মোজাম্মেল মালয়েশিয়া পুলিশের হাতে নকল পাসপোর্ট করার মেশিনসহ ধরা পড়েছিল।