দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বৃহস্পতিবার বলেছেন, জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে দেশের সৈন্যদের হাতে নিগৃহীত যৌনদাসীদের বিষয়টিকে শেষ হয়ে গেছে এ কথা বলতে পারেন না। একই সঙ্গে তিনি টোকিওকে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও তাদের অতীত অপকর্ম স্বীকার করে নেয়ার দাবির কথা পুনরুল্লেখ করেন। -খবর এএফপি
গত বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী সৈন্যদের মনোরঞ্জনের জন্য তথাকথিত কমফোর্ট ওম্যান বা যৌনদাসী হিসেবে কোরীয় নারীদের ব্যবহার করার বিষয়টি নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিগত কয়েক দশক যাবত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মুনের পূর্বসূরি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই ২০১৫ সালে টোকিওর সঙ্গে এই মর্মে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন যে, সিউল যৌনদাসী বিষয়টি আর উত্থাপন করবে না এবং জাপান দক্ষিণ কোরিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও তাদের পরিবারকে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠনকে ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার দিবে।
কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাপান সরকারের স্বাক্ষরিত এই চুক্তি ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা, কোন কোন যৌনদাসী এই মর্মে অভিযোগ করেন এতে তাদের আইনগত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট মুন ক্ষমতা গ্রহণের পর পূর্ববর্তী সরকারের স্বাক্ষরিত চুক্তিকে ত্রুটিপূর্ণ সমাধান বলে উল্লেখ করে জাপানকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জাানন।
জাপানের ঔপনিবেশিক শাসনামলে ১৯১৯ সালে কোরীয়রা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, ‘কমফোর্ট ওম্যান’দের প্রসঙ্গ জাপান সরকার যেভাবে ‘ওভার’ বলে ইতি টানতে চাইছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ‘ওভার’ বলে ঢেকে দেয়া সম্ভবও নয়। এ প্রসঙ্গে মুন আরও বলেন, মর্ম পীড়াদায়ক ঐতিহাসিক সমস্যা সমাধানের প্রকৃত উপায় হচ্ছে ইতিহাসকে অস্বীকার না করে তা স্মরণ করা এবং সংঘটিত ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া।