Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

du chatraligকোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন। এসময় সুজনের সমর্থকদের ওপরে হামলা চালায় সোহাগের অনুসারীরা। এতে ৬ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। সোমবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে দুপুর তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারীদের হামলায় ছয় জন আহত হন। তবে, এটি গুজব বলে দাবি করেছেন সোহাগ।

chardike-ad

আহতরা হলো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের উপনাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান মিশু, সাবেক সদস্য মাহাবুব হোসেন খান, সূর্যসেন হল শাখার নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, এসএম হলের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন ও এ এফ রহমান হলের কর্মী সাগর রহমান।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের পাঁচ জন নেতাকর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ দুপুর তিনটার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হন। এই সময় কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন নেতাকর্মী এসে সোহাগের কাছে ছাত্রলীগের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে সোহাগ বলেন ছাত্রলীগের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাওয়ার তুমি কে? তখন সুজন বলেন আমি কেন্দ্রীয় সহসভাপতি। এই বিষয়ে কি আমার জানার অধিকার নেই। তখন সোহাগের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হন। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরিফুর রহমান লিমনের নির্দেশে যুগ্ম সম্পাদক দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম এহতেশাম ও মোহাম্মদ নিজামুল হক সুজনের সমর্থকদের ওপর হামলা করেন।

কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজনের ভাষ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিষয়ে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তিনি সোহাগের কাছে তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া সম্মেলনের বিষয়েও জানতে চান। তারপর সোহাগ ও তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হন এবং হামলা করেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলন, ‘এটা গুজব। গুজবে কান দেবেন না। ছাত্রলীগের মধ্যে কোনও মারামারি হয়নি।’