Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বোনের প্রভাবেই এমন বদলে গেলেন কিম

কিমের পাশে বোন ইয়ো জং
পিস হাউসে অতিথি বইয়ে সই করার সময় কিমের পাশে বোন ইয়ো জং-এএফপি
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ক্ষমতায় বসার পর থেকে একের পর এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে গেছেন। এমনকি এ বছরের শুরুতেও কিমের যুদ্ধংদেহী মনোভাব উত্তাপ ছড়িয়েছে বিশ্বে। নববর্ষের বার্তায় তিনি যখন বললেন যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর মতো পারমাণবিক বোমার বোতাম তাঁর টেবিলেই আছে, ততক্ষণাৎ ট্রাম্প উত্তর দেন যে তাঁর কাছে এর চেয়ে বড়টা আছে। বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া দুই নেতা আগামী মে বা জুনে বৈঠক করতে পারেন বলে জল্পনা-কল্পনা চলছে। কী এমন হলো যে শত্রু থেকে বন্ধু হতে যাচ্ছেন তাঁরা?

কিমের মনোভাবের এই আকাশ-পাতাল পরিবর্তনের পেছনে তাঁর বোন কিম ইউ-জং আছেন বলে মনে করা হয়। দুই কোরিয়ার শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের অবসানের পেছনেও তিনিই কলকাঠি নেড়েছেন বলে ধারণা করা হয়। উত্তর কোরিয়ায় কিম জং-উনের পর ৩০ বছর বয়সী ইউ-জংই সবচেয়ে ক্ষমতাধর।

chardike-ad

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ৬৫ বছর আগের যুদ্ধের এখনো আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়নি। স্বভাবতই বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্ক তাদের। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকের সময় থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ওই অলিম্পিকে যোগ দেয় উত্তর কোরিয়া। শুধু তা-ই নয়, একটি প্রতিনিধিদলও যোগ দেয়। সেই দলে ছিলেন কিমের বোন ইউ-জং। কিম বংশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি সেখানে যান।

অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দক্ষিণের মানুষের মন কাড়েন ইউ-জং। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে তাঁর করমর্দনের ছবি বিশ্বের নজর কেড়েছিল। তিনি এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় রীতিমতো তারকা। দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট গতকাল নিজেই সে কথা জানালেন। ঐতিহাসিক সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকা কিমের সঙ্গে বৈঠকের পর মুন এ কথা জানান। তখন ভাইয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে পাশে থাকা ইউ-জং লাজুক হাসি দেন।

গতকাল কিম যখন সীমান্তরেখা পাড়ি দিয়ে ঐতিহাসিক সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান, তখন সঙ্গে ছিলেন বোন ইউ-জং। দুই নেতার বৈঠকস্থল পানমুনজম গ্রামের পিস হাউসের অতিথি বইয়ে লেখার জন্য তিনি ভাইয়ের দিকে কলম এগিয়ে দেন। মুনের সঙ্গে কিমের প্রথম দফার বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বৈঠকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিপিবদ্ধ করে নেন।

কিম গত অক্টোবরে বোন ইউ-জংকে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য করেন। শুধু তা-ই নয়, চীন সফরেও বোনকে পাশে রেখেছিলেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকবেন। ছোটবেলা থেকেই ভাই-বোনের সুসম্পর্ক। কৈশোরে তাঁরা পরিবার থেকে দূরে সুইজারল্যান্ডের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।