মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে বৈঠকের পর প্রথমবার বিদেশ সফরে গেলেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। মঙ্গলবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে আলোচনা করবেন কিম।
এটা চলতি বছর কিমের তৃতীয় চীন সফর। ১২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে সমঝোতার যৌথ ঘোষণায় কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের এ চীন সফর প্রসঙ্গে দুই দেশের কোনো বার্তা সংস্থাই আগে থেকে কোনো ধারণা দেয়নি। চীনে কিমের এর আগেরবারের সফরগুলোর ব্যাপারেও জানা যায় তার সফর শেষ হওয়ার পরে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু আলোচনা করতেই চীনে গিয়েছেন কিম। চীন সবসময়ই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর বিমানবন্দরটির আশপাশের রাস্তায় সাধারণ জনগণকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিমের বিমান অবতরণের প্রস্তুতি হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।বেইজিংয়ে তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গ্রেট হল অব পিপলে দেখা করবেন দুই নেতা।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন উভয় দেশই কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চায়। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি চীন এই ইস্যুতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে।
জাপানের বাণিজ্য বিষয়ক দৈনিক নিক্কেই জানিয়েছে, কিম তার দেশের ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। বিনিময়ে তিনি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি চীনকে তার পাশে পেতে চাইছেন বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।