
কোটা আন্দোলনের পেছনে কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আন্দোলনের পেছনে কী যুক্তি কাজ করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের অরাজক পরিস্থিতি দেখে আমি বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে কোটা থাকবে না।’ কোটা থাকবে না কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এটাও দেখতে হবে স্বাধীনতা বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীরা যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে, বা রাষ্ট্রীয় কোনো পদপদবিতে বসতে না পারে।
এখন থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের সম্মানী ভাতা পাবেন ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে (গভর্নমেন্ট টু পারসন)। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। কক্সবাজার থেকে এ কার্যক্রমের শুরু হয়। এ অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে অনেক কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএসসির অধীনে কোনো চাকরি পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পিএসসির পরীক্ষা পদ্ধতি অত্যন্ত শক্ত। এ পরীক্ষায় যাঁরা অংশ নেয় তাঁরা অত্যন্ত মেধাবী। মেধা ছাড়া এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।
পিএসসির অধীনে নন-ক্যাডার চাকরি চালু করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কেমন মেধাবী যারা বলছেন নন-ক্যাডার চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা মেধাবী নন। তারা কীভাবে এমন নির্বোধের মতো কথা বলতে পারেন?’
কোটা আন্দোলনে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আন্দোলনের বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি এটা বুঝতে পারছেন না যে কেন মধ্য রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাস ভবনে হামলা হলো। তাঁর শোয়ার ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার ও নগর অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হলো। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্বাস করতে পারছি না এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাস ভবনে হামলা করতে পারে। আমার এটা ভেবে লজ্জা হচ্ছে, আর হামলাকারীরা যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদের জন্য আরও লজ্জাজনক।’
শেখ হাসিনা বলেন, পরোক্ষভাবে এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাইরে রাখা। দেশের সেবায় অবদান রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের জন্য এই কোটা পদ্ধতি নিশ্চিত করেছে।
সৌজন্যে- প্রথম আলো