Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিউলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিসিকে এওয়ার্ড এবং বিজয় দিবস উৎযাপন

সিউলে গতকাল রবিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা ১০ জন বাংলাদেশীকে এবং ২ জন কোরিয়ানকে বিসিকে এওয়ার্ড প্রদান করেছে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া (বিসিকে)। কোরিয়ায় বিভিন্নভাবে অবদান রাখার জন্য ৬টি বিভাগে এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের অভিজাত লট্টে হোটেলে আনন্দঘন পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন এবং বিসিকে এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এওয়ার্ডপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

chardike-ad

বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে শুরু হয়। বিসিকে সাধারণ সম্পাদক ডঃ আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন মুফতি আব্দুল ওয়াকিল এবং পবিত্র গীতা পাঠ করেন ডঃ পিকে রায়।

এওয়ার্ড প্রাপ্তদের সাথে অতিথিবৃন্দ

বিসিকে এওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিকে নির্বাহী সদস্য জামান সরকার নলেজ। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন এম এন ইসলাম এবং ডঃ পিকে রায়।

জাহিদুল ইসলাম সোহানে পরিচালনায় বিসিকে এওয়ার্ড প্রদান পর্বে এওয়ার্ড পাওয়া ১২ জনকে ক্রমান্বয়ে এওয়ার্ড তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এই বছর এওয়ার্ড ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ  ক্যাটাগরিতে এওয়ার্ড পেয়েছেন ডঃ মনোয়ার হোসাইন এবং ডঃ মোস্তফা জামান। সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য মুস্তাইন বিল্লাহ এবং শফিকুল ইসলাম। ইপিএস পার্সন অব দ্য ইয়ার মনোনীত হয়েছেন আবু সাইদ রেজা এবং আসলাম আলী। এওয়ার্ড ফর আর্টস, কালচার এন্ড স্পোর্টসের জন্য মনোনীত হয়েছেন নওশাদ ফেরদৌস এবং কিম সজল।  কোরিয়ান অব দ্যা ইয়ার হিসেবে এওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় কোরিয়া পোস্টের চেয়ারম্যান লি গিয়ং সিক এবং সিউল গ্লোবাল সেন্টারকে। প্রথমবারের মত দেওয়া ব্রান্ডিং বাংলাদেশ তুলে দেওয়া হয় জুলকারনাইন মাহমুদ এবং মনীষা দাসের হাতে। 

কোরিয়া পোস্টের চেয়ারম্যান লি গিয়ং সিকের হাতে এওয়ার্ড তুলে দিচ্ছেন বিসিকে সভাপতি এম জামান সজল এবং সাবেক সভাপতি হাবিল উদ্দিন

অনুষ্ঠানে বিদেশী অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়া ইমিগ্রেশন সার্ভিসের ডিরেক্টর মিঃ লি দোং হুই, সিউলের অনারারী মেয়র পুপুভা একাতেরিনা, সিউল রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট উরপিয়ানা জাং, উইজংবু সাপোর্ট সেন্টারের মিঃ লি ইয়ং, সিউল গ্লোবাল সেন্টারে টিম লিডার  কিম জং হোয়ান এবং সিউল গ্লোবাল সেন্টারের কর্মকর্তা শিম জি হে গ্লোবাল। এছাড়া বিসিকে নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ইপিএস বাংলা কমিউনিটি, ইসো, ইকেবিসি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কোরিয়া এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য কোরিয়ান অব দ্যা ইয়ার পাওয়া কোরিয়া পোস্টের চেয়ারম্যান লি খিয়ং শিক বলেন বিসিকে এওয়ার্ড পাওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। বাংলাদেশ-কোরিয়ার বন্ধুত্ব অনেক দিনের। দুইশ’র বেশি কোরিয়ান কোম্পানী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়ন অনেক দিন ধরেই দেখছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য কিছু করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করবো।

মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন কোরিয়া প্রবাসী শিল্পী সুমি বড়ূয়া, নাবিলা এবং বিসিকে এওয়ার্ড প্রাপ্ত নওশাদ ফেরদৌস।  

সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে বিসিকে সভাপতি এম জামান সজল অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিসিকে এওয়ার্ডপ্রাপ্তদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও দেশের সম্মান উজ্জ্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।