Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মোবাইল ফোনের ‘ফাইভ-জি’ কী, কেন প্রয়োজন?

5gমোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘জি’ পদ্ধতি বৈল্পবিক পরিবর্তন এনেছে। জি বা জেনারেশন পদ্ধতি বলতে একটি স্তর থেকে আরেক স্তরে উন্নীত বা নতুন কোনো মৌলিক সুবিধা চালু হওয়াকে বোঝানো হয়।

১৯৮০ সালে প্রথম ‘জি’ পদ্ধতি শুরু হয়। মোবাইল ফোনে কল করার মধ্যেমে এ্যানালগ ডাটা স্থানান্তর বা কল করার প্রযুক্তি এ বছরেই প্রথম তৈরি হয়। তখন একে ফার্স্ট জেনারেশন বা ‘ওয়ান-জি’ হিসেবে সজ্ঞায়িত করা হয়।

chardike-ad

পরে ১৯৯১ সালে ওয়ান-জি থেকে উন্নীত হয়ে টু-জি চালু হয়। এসময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কল করার সুবিধার সঙ্গে এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস) ও এমএমএস (মাল্টিমিডয়া মেসেজ সার্ভিস) সেবা চালু হয়।

টু-জি চালু হবার পর থেকে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। আরো বেশি ডাটা ট্রান্সফার কী পদ্ধতিতে করা যায় তা নিয়ে গবেষকরাও তৎপর হয়ে ওঠেন।

ব্যাপক গবেষণার ফল হিসেবে ২০০১ সালে বাজারে আসে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক। তৃতীয় প্রজন্মের এই নেটওয়ার্ক চালু হবার পর মোবাইল ফোনে কল করা ও মেসেজ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয় ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যান্য কাজ করার সুবিধা এনে দেয় থ্রি-জি প্রযুক্তি।

প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রায় ২০০৮ সালে বাজারে আসে ফোর-জি। আগের জেনারেশনগুলোকে পেছনে ফেলে ফোর-জিতে কল করা, মেসেজ সার্ভিস ও ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয় ভিডিও কল করার প্রযুক্তি। ভিডিও কল ছাড়াও লাইভ স্ট্রিমিংসহ নানা সুবিধা রয়েছে।

ফোর-জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটে একই সঙ্গে একাধিক ভাষার ব্যবহার, ইন্টারনেট নির্ভর স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, স্ট্রিমিং মুভি, গেম, মিউজিকসহ নানা প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ বাজারে ‘ফাইভ-জি’। এই প্রযুক্তি হবে ফোর-জি থেকে অন্তত ২০ গুণ বেশি গতি সম্পন্ন। অর্থাৎ ফোর-জিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কাজ করা যায় ফাইভি-জির মাধ্যমে তার চেয়ে ২০ গুণ বেশি গতিতে কাজ করা যাবে।

একটি ৮ জিবি (গিগাবাইট) সিনেমা মাত্র ছয় সেকেন্ডে ডাউনলো করা যাবে। ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্তত ৫০ বিলিয়ন ডেভাইস এই প্রযুক্তির আওতায় আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ফাইভ-জিতে মোবাইলে কল করা, ম্যাসেজ সার্ভিস, ইন্টারনেট, ভিডিও কল ও স্ট্রিমিংসহ অন্যান সুবিধার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আল্ট্রা এইচডি ও থ্রিডি ভিডিও সুবিধা। এর মাধ্যমে একটি ঘরকে স্ম্যার্ট ঘরে রুপান্তর করা যাবে।

সৌজন্যে- সময় নিউজ