Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মা-খালা-মেয়ে কাউকেও ছাড়েনি ভণ্ডপীর মনির!

vondo-monirরাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় মা-খালার পর কিশোরী মেয়েকে অসংখ্যবার ধর্ষণের অভিযোগে এক ভণ্ড পীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দিনগত রাতে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ভণ্ড পীরকে তার নিজ বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কথিত ওই পীরের নাম মো. মনির হোসেন (৪০)। তাকে গ্রেপ্তারের সময় ওই বাড়ি থেকে ধর্ষিত নারীদের উদ্ধার করা হয়। মনির আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার মৃত আঃ রহিমের ছেলে। সোমবার দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ মাসুদ জানান, প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রী (৩৩) মুরিদ হন একই এলাকার ভণ্ড পীর মনির হোসেনের কাছে। মুরিদ হিসেবে ওই ভণ্ড পীরের আস্তানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিলো ওই নারীর। এক পর্যায়ে মনির ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিলো ওই নারীকে। দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণের পর ওই নারীরই ছোট বোনের (৩০) প্রতি আকৃষ্ট হন মনির। পরে তাকেও নিজ আস্তানায় এনে মুরিদ বানিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করতে থাকেন।

chardike-ad

কিছুদিন পর ওই দুই বোনের মধ্যে মনমালিন্যের ঘটনা ঘটনার পর ছোট বোন ওই আস্তানায় যেতে অসম্মত হলে বড় বোনকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে তার কিশোরী মেয়েকেও (১৩) আস্তানায় এনে মনির অসংখ্যবার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী তার খালাকে সকল ঘটনা বলে দেয় এবং গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চায়। পরে ওই কিশোরীর খালা আশুলিয়া থানা পুলিশকে খরব দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার রাতে মনিরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পীরের সহকারী মকবুল হোসেন পলাতক রয়েছেন। মনিরের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরো অনেক অভিযোগ পুলিশ পেয়েছে। তার বাড়িতে আস্তানা বানিয়ে তিনি নির্বিঘ্নে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মনিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছোট বোন বাদি হয়ে ভণ্ড পীর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আরো অনেক নারী ওই আস্তানায় আসতো এবং ভণ্ড পীর মুনির তাদেরকেও ধর্ষণ করেছে। ধর্মবিরোধী কাজেই লিপ্ত ছিল মনির। পাশাপাশি সে বাদিকেও ইসলাম ধর্মের অবমাননাকর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার জন্য বাধ্য করতো এবং নিজেকে সে খোদা দাবি করে তার ছবিতে সেজদা করার জন্য বলতো।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের বড় বোনকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা কৌশলে ভণ্ড পীর মুরিদ করে ধর্ষণ করে আসছিলো। পরে তার ছোট বোন ও কিশোরী মেয়েকে একই কৌশলে ধর্ষণ করে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ