Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রে আগামীকাল থেকে অবৈধ অভিবাসী আটক অভিযান শুরু

arresting-immigrantsআগামীকাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের আটক অভিযান শুরু করবে ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। আটককৃতদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। একই দিন, অভিবাসন প্রত্যাশী মা-বাবার কাছ থেকে শিশুদের আলাদা করে বন্দিশালায় আটক রাখায় তীব্র নিন্দা জানান ডেমোক্র্যাট নেতারা। তবে চলমান অভিবাসন সংকটের জন্য পাল্টা ডেমোক্র্যাটদেরই দোষারোপ করেছে রিপাবলিকান নেতারা।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েক দিন ধরে আবারো আলোচনায় আসে অভিবাসন প্রসঙ্গ। শুক্রবার গণমাধ্যমকে ট্রাম্প জানান, রোববার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহরে অবৈধ বাসিন্দাদের ধরপাকড় শুরু হবে। নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, হিউস্টন, আটলান্টা, বাল্টিমোর, ডেনভার, মায়ামি ও সান ফ্রান্সিসকো থেকে প্রায় ২ হাজার পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

chardike-ad

রিপাবলিকান এক নেতা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে থাকছে তাদের ধরে ধরে দেশে পাঠানো হবে। আর যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড রয়েছে, তাদেরকে জেলে পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য লাখ লাখ মানুষ ৯-১০ বছর ধরে বৈধভাবে আবেদন করে প্রবেশের স্বপ্ন দেখছে। তারা পড়ালেখা করেছেন, ইংরেজি শিখেছেন। চোরের মতো ঢুকে পড়া কারোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে জায়গা নেই।’

এদিকে, সীমান্ত ও বন্দিশালায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। শুক্রবার টেক্সাসের এমনই এক বন্দিশালা পরিদর্শন করেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক দলীয় চার জন করে সদস্য। এরপর এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন দুই দলের নেতারা। এসময় শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বন্দিশালায় আটকে রাখার ঘটনাকে পাশবিক বলে উল্লেখ করেন ডেমোক্র্যাট নেতারা। তারা ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র নিন্দা জানান।

ডেমোক্র্যাট এক নেতা বলেন, ‘তাদের সান্ত্বনা দেয়ার কোন ভাষা খুঁজে পাইনি। চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। তারা কঠোর শাস্তি পাচ্ছেন প্রত্যেকেই, কিন্তু তাদের অপরাধ কি? একটা দারিদ্রমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, নিরাপদ জীবনই চেয়েছিল তারা। যুক্তরাষ্ট্র কিছু অসহায় মানুষকে সহায়তা দেয়ার ক্ষমতা রাখে না!’ তবে ডেমোক্র্যাটদের অবহেলাই অভিবাসীদের এই শোচনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন রিপাবলিকান নেতারা।

ট্রাম্প বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আমরা যখন বারবার সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের দাবি তুলেছিলাম, প্রতিবারই তা বাতিল করে দেয় ডেমোক্র্যাটরা। আজ আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত হলে এ ধরণের সংকট দেখাই যেতো না। কেউ সুরক্ষিত সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে মার্কিন সীমান্তে আসবে না।’

এরই মধ্যে, শুক্রবার অভিবাসন প্রত্যাশীদের বন্দিশালা পরিদর্শন করতে দক্ষিণের সীমান্ত অঞ্চল টেক্সাসে যান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এসময় বন্দিশালার সুযোগ সুবিধা খতিয়ে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে, সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য নিজ দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন পেন্স।

সৌজন্যে- সময় টিভি