Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশের মানুষের মানবিকতায় আমি মুগ্ধ : ভারতীয় জেলে রবীন্দ্রনাথ

indian-fhisheries-saveউত্তাল সাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে টানা চার দিন লড়াই করে বেঁচে ছিলেন ভারতীয় জেলে রবীন্দ্রনাথ দাস। ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর বাঁশসহ ট্রলারের ভাসমান সরঞ্জাম ধরে ভেসে ছিলেন। ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৫ জন সহকর্মীর সঙ্গে সাগরে ভাসছিলেন রবীন্দ্রনাথ দাশ। একে একে সবাই ডুবে গেলেও একমাত্র তিনিই বেঁচে ফিরেছেন। গত বুধবার তাকে কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ।

বৈরি আবহাওয়ায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলে রবীন্দ্র দাশকে উদ্ধার করে কেএসআরএম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাওয়াদের নাবিকরা।

গতকাল শুক্রবার বিকালে পতেঙ্গার বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি জেটিতে উদ্ধার করা জেলেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয়। এ সময় তিনি যাদের সহযোগিতায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মানবিকতায় তিনি মুগ্ধ। তাদের প্রচেষ্টায় আজ আমি এভাবে আছি, তারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, জাহাজটা যেভাবে ঘুরিয়ে আমাকে উদ্ধার করেছেন সেজন্যই আমি এখনও বেঁচে আছি। আমার কাছে এদের আচার ব্যবহার, স্নেহ-ভালোবাসা সব কিছুই ভালো লেগেছে।

সাংবাদিকদের সামনে রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধারের বর্ণণা তুলে ধরেন এমভি জাওয়াদের ক্যাপ্টেন এস এম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তখন সকাল ১১টা। আমরা রবীন্দ্রনাথকে দেখতে পাই, সে সাগরে ভাসছে। রবীন্দ্রনাথকে দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আমি হাই-কমান্ড জানাই। উনারা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, যেকোনও মূল্যে তাকে উদ্ধার করার। এরপর আমাদের ক্রুরা খুব দক্ষতার সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধার করতে আমাদের জাহাজ পেছনে ঘুরাতে হয়েছে। এখানে টেকনিক্যাল অনেক টার্ম ছিল। মানবিকতার জায়গা থেকে আমরা আমাদের সবটুকু সমার্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেছি তাকে উদ্ধার করতে। তাকে উদ্ধার করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

এদিকে শুক্রবার বিকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করার পর ওই জেলেকে কোস্ট গার্ড কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে জানা যায়, ভারতীয় জেলে রবীন্দ্রনাথ দাসকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email