Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জাপানের ঘুম ছুটিয়ে দোকদো দ্বীপে বিশাল সামরিক মহড়া উত্তর কোরিয়ার

north-koria-missileএকের পর এক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। গত ২৪ ঘন্টায় জাপান সাগরের দিকে দুটি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে সে দেশ। এই অবস্থায় জাপানজুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একদিকে যখন এই অবস্থায় অন্যদিকে তখন জাপান সাগরে অবস্থিত বিতর্কিত একটি দ্বীপের চারপাশে দক্ষিণ কোরিয়া বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে। দুদিন ধরে চলবে বিশাল এই মহড়া। যার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে টোকিও।

দোকদো দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপান এর মালিকানা দাবি করে আসছে। টোকিও দুই দেশের ভূখণ্ড থেকে প্রায় সমদূরত্বে অবস্থিত বিশাল এই দ্বীপটিকে তাকেশিমা নামে ডাকা হয়। যুদ্ধকালীন ইতিহাস নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে বছরখানেক ধরেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এই মহড়া। মহড়াটি শুরুর কয়েকদিন আগেই সিউল প্রতিবেশী জাপানের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রধান সম্পর্কিত একটি চুক্তিও বাতিল করে দিয়েছিল।

chardike-ad

দোকদো দ্বীপের আশপাশে দুই দিনের এই মহড়ায় নৌ, বিমান ও সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি মেরিন সেনারাও অংশ নিয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও জাপান এর তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে এই মহড়া বন্ধের জন্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

টোকিওতে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসে পাঠানো বিবৃতিতে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এশিয়ান অ্যান্ড ওশেনিয়ান বিষয়ক ব্যুরোর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক কেনজি কানাসুগি বলেছেন, “দ্বীপটি অবশ্যই জাপানের ভূখণ্ডের অন্তর্গত অংশ।” অন্যদিকে এরপরেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল ব্লু হাউসের মুখপাত্র কো মিন জুং বলেছেন, বার্ষিক এই মহড়া কোনও নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না বিশাল এই মহড়া হচ্ছে আমাদের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যে বলে মন্তব্য করেছেন কো মিন।

বিশাল এই মহড়ায় প্রথমবারের মতো মার্কিন এইজিস কম্ব্যাট ব্যবস্থায় একেবারে সজ্জিত একটি ডেস্ট্রয়ার ও সেনাবাহিনীর বিশেষ দল অংশ নিচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌ আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার এহেন সেনা মহড়া নিয়ে দুই দেশ অর্থাৎ জাপান এবং সিওলের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।