Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

south-korean-policeদক্ষিণ কোরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল হসিয়ং। ৩০ বছর আগে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন এই গ্রামের ১০ জন নারী। এদের মধ্যে কিশোরী থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধাও রয়েছেন। তবে পুলিশ এসব ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ৩৩ বছর পর শেষ পর্যন্ত চিহ্নিত করা গেছে ভয়াবহ সিরিয়াল কিলারকে।

আশির দশকে হসিয়ংয়ে ১০ নারী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন। তবে এসব ঘটনায় জড়িত অপরাধীকে কোনোভাবেই সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার ২০ লাখেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করেছেন, যা দেশটির ইতিহাসে কোনো একক মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে রেকর্ড। অপরাধীকে খুঁজে পেতে তারা ২১ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত এবং ২০ হাজার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু খোঁজ মেলেনি অপরাধীর। ২০০৩ সালে এই ঘটনার ছায়া অবলম্বনে ‘মেমোরিজ অব মার্ডার’ নামে এক সিনেমাও নির্মাণ করা হয়। বক্স অফিসে সিনেমাটি ব্যাপক সাফল্য পেলেও পুলিশ তখনও ব্যর্থই ছিল।

chardike-ad

তবে সর্বশেষ ফরেনসিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শেষ পর্যন্ত খোঁজ মিলেছে সন্দেহভাজন হত্যাকারী ৫৬ বছরের লি চুন-জায়ের। হত্যার শিকার অন্তত তিনজন নারীর অন্তর্বাসে থাকা ডিএনএ লি চুনের ডিএনএ’র সঙ্গে মিলেছে।

লি অবশ্য শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে ১৯৯৪ সাল থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। হসিয়ংয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, মামলার মেয়াদ তামাদি হয়ে যাওয়ায় লিকে আর বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না।

অবশ্য গিওঙ্গি নাম্বু প্রাদেশিক পুলিশের কর্মকর্তা বান জি সু হাল ছাড়তে নারাজ। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার সমাধান করতে না পারায় আমি ক্ষতিগ্রস্থ ও তাদরে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা ঐতিহাসিক দায়ের ভিত্তিতে সত্য উন্মোচনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’