Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এ কেমন ইচ্ছা?

International
বিয়েতে আসা বরযাত্রীদের একাশংশ

মানুষের কত রকমই না ইচ্ছা থাকে। থাকতেই পারে। কিন্তু এমন ইচ্ছার কথা কেউ কখনো শুনেছেন কিনা সন্দেহ। আর ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার খেসারত যে এত মারাত্মক, তাও হয়তো অনেকের জানা নেই।

ঘটনাটি বলি। ভারতের নয়াদিল্লির রাজৌরি গার্ডেনে একটি বিয়ের আসর বসে শুক্রবার। জাঁমজমক করে সাজানো হয় বিয়ের স্থান। সব কিছু ঠিকঠাক। কনে অপেক্ষায় আছেন, কখন আসবে বরযাত্রী। বরের জন্য নয় কিন্তু। কী রকম মহাধুমধামে বরযাত্রীরা আসছে, তাই দেখার জন্য। গাড়ি, বাদ্যবাজনা ও বরযাত্রীদের হইহুল্লোড়ে প্রকম্পিত হবে পুরো এলাকা। সৃষ্টি হবে দীর্ঘ যানজট। ক্যামেরা হাতে ছুটে আসবেন সাংবাদিক। হবে লাইভ কাভারেজ। এতেই দেশের মানুষ জানবে, তার বিয়ে হচ্ছে।

chardike-ad

কিন্তু বরযাত্রীরা যানজটসৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়। তাদের সৃষ্ট হইহুল্লোড়ও কনের পছন্দ হয়নি। বিয়ের আয়োজক প্রতিষ্ঠান দাবি করেন, কনের ইচ্ছামতো বরযাত্রীদের বিপুল লোক সমাগম ঘটানোর কথা বলা হয়েছিল। করাও হয়েছে তাই। বর এসেছে হাতির পিঠে। বাদ্যের শব্দে কেঁপেছে এলাকা। কিন্তু তা লাইট-ক্যামেরা নিয়ে সাংবাদিকদের ছুটে আসার মতো কিছু হয়নি। ফলে কোনো টেলিভিশনে তা প্রচার পায়নি।

এ সম্পর্কে কনে বলেছেন, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি উদযাপনের জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলাম আমি। কিন্তু তা করতে হলো না। আমার এক চাচাতো ভাইয়ের বিয়েতে বরযাত্রীদের কারণে রাস্তায় দুই কিলোমিটারজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। সে কী মহা আয়োজন। আমার বেলায় সেরকম কিছুই হলো না।

কনের মাও মেয়ের পক্ষে সাফাই গাইলেন। মেয়ের এই সামান্য ইচ্ছা পূরণ করতে পারল না তার হবু বর! কী আবদার!

ফলাফল? যা হলো, তা খুবই ভয়াবহ। বিয়ের আসর থেকে মেয়ে জানিয়ে দিল, বিয়ে স্থগিত। যে বিয়েতে তার লালিত ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন নেই, সে বিয়ে না করাই ভালো। ভেঙে গেল বিয়ে। বেচারা বর ফিরে গেল বউ ছাড়াই।

তার পরও প্রশ্ন থেকেই যায়, এ কেমন ইচ্ছা? যে ইচ্ছার মূল কথা ‘লোকদেখানো’।