বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য এখন সবচেয়ে জরুরি: সালাহউদ্দিন আহমদ


salauddin

ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান–পরবর্তী প্রথম বিজয় দিবস ছিল ভিন্নমাত্রার। মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে মানুষ সেই বিজয়ের আনন্দ মনভরে উপভোগ করেছে। তবে এক বছর পেরোতে না পেরোতেই নানা রাজনৈতিক পরিক্রমা ও নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কের কারণে সমাজে কিছু বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এসব বিভক্তির সুযোগ নিয়ে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, যা এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একটি সহিংস ঘটনার (হাদির ওপর হামলা) কারণে পরিবেশ আরও বেদনাবিধুর হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র সুসংহত করতে বাংলাদেশের পক্ষের সব গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ঐক্যের মাধ্যমেই সন্ত্রাসবাদ, গণতন্ত্রবিরোধী তৎপরতা ও ফ্যাসিবাদী অপচেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের সব মানুষেরই অংশগ্রহণ ছিল। যারা ১৯৭১-কে দলীয়করণের চেষ্টা করেছে, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এখন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান শহীদদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা এবং জনগণের মুক্তির প্রত্যাশার বহিঃপ্রকাশ। জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাংবিধানিক অধিকার ও হারানো মানবাধিকার ফিরে পেতে চেয়েছে, যার সমষ্টিগত রূপই এই গণঅভ্যুত্থান।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে প্রধান কাজ হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে জাতীয় শক্তিতে রূপ দেওয়া এবং সেই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া। এর মাধ্যমেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এটিই হবে বিজয়ের প্রকৃত উচ্ছ্বাস, জাতীয় প্রত্যাশা পূরণ এবং শহীদদের রক্তের ঋণ শোধের পথ।