
ছবি: সংগৃহীত
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা— প্রতিটি ঋতুতেই ত্বকের দরকার নিয়মিত যত্ন। তবে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যত্ন নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি, কারণ এই ত্বকে সমস্যা হয় বেশি। যতই ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার রাখা হোক না কেন, কিছুক্ষণ পরেই মুখে জমে তেলতেলে ভাব। মেকআপও বেশিক্ষণ টিকে না। রাস্তায় বের হলেই মুখে ধুলাবালি জমে তৈরি হয় নানা সমস্যা।
তবে এইসব সমস্যার সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান রয়েছে হাতের কাছেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এসময় তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কী করবেন-
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা: দিনে দু’বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত একটি মৃদু ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন যা ত্বককে শুষ্ক না করে অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা জরুরি।
দরকার ভালো ঘুম: এটি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকে অতিরিক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে। ঈদের আগে রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত যাতে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।
তেল শোষণকারী পণ্য ব্যবহার করা: তেল শোষণকারী সিরাম বা ফেস পাউডার ব্যবহার করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা: তৈলাক্ত ত্বক হলেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। জেল বা ওয়াটার-বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন যা ত্বককে আর্দ্র রাখবে কিন্তু ভারী বোধ হবে না।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা: বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ওয়াটার-বেসড সানস্ক্রিন উপযুক্ত।
নিয়মিত স্ক্রাব করা: সপ্তাহে এক বা দুইবার স্ক্রাব করে ত্বকের মৃত কোষ এবং অতিরিক্ত তেল দূর করুন।
মেকআপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা: তেল-মুক্ত মেকআপ ব্যবহার করুন এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
তেল-নিয়ন্ত্রণ মাস্ক ব্যবহার করা: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা: ফাস্ট ফুড এবং অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার পরিহার করুন। প্রচুর পরিমাণে ফল ও সবজি খান।
ব্রণ হলে সঠিক চিকিৎসা: ব্রণ হলে অবহেলা না করে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করান।
যত্নটাই ত্বকের সৌন্দর্যের মূল চাবিকাঠি। উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে তৈলাক্ত ত্বকও হয়ে উঠবে সতেজ, স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত।









































