
প্রতীকী ছবি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৬২ জেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ প্রকল্পের আওতায় আসবে। এটি ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। টেন্ডার সম্পন্ন হবে অক্টোবরের মধ্যেই বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
প্রকল্প অনুযায়ী, সপ্তাহে পাঁচ দিন শিক্ষার্থীরা পুষ্টিকর খাবার পাবে—যার মধ্যে থাকবে বনরুটি, সিদ্ধ ডিম, দুধ, ফরটিফাইড বিস্কুট এবং মৌসুমি ফল বা কলা। খাবারের ওজন ও মানও নির্ধারিত রয়েছে: যেমন ১২০ গ্রাম বনরুটি, ৬০ গ্রাম ডিম, ২০০ গ্রাম দুধ ইত্যাদি।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, এই খাবার শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে, মনোযোগ বাড়াবে, ঝরে পড়ার হার কমাবে এবং উপস্থিতি বৃদ্ধি করবে।
প্রায় ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, যার মধ্যে ৯৭ শতাংশই খাবার সরবরাহে ব্যয় হবে। শুধু ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্যই বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।
উপজেলা পর্যায়ে গঠিত মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে পুরো কার্যক্রম তদারকি করা হবে। পাশাপাশি ১৯ হাজারের বেশি শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে নেওয়া হয়েছে ১৯২টি ব্যাচে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগ।