Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৬০০ কোটি ডলার

সাত সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের গোলা ও বোমাবর্ষণের পর গাজা এখন এক বিধ্বস্ত অঞ্চল। ২৬ আগস্ট অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই করেছে ইসরায়েল ও হামাস। মৃতপ্রায় গাজাকে কীভাবে সারিয়ে তোলা যায় এখন চলছে সে হিসাব-নিকাশ। ধারণা করা হচ্ছে, গাজা পুনর্গঠনে ৪০০-৬০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হবে। খবর সিএনএন।untitled-28_77198

জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো অতিরিক্ত ৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলারের মানবিক ত্রাণ চেয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেক ব্যয় (১৬৪ মিলিয়ন ডলার) করা হবে ৫০ হাজার লোকের খাদ্যনিরাপত্তা দিতে। বাকি অর্থের মধ্যে ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার যাবে আবাসনে, পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় ৩ কোটি ১০ লাখ এবং বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া স্কুলগুলোকে অস্থায়ীভাবে সারানোর জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার।

chardike-ad

ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা অক্সফামের হিসাবে গাজায় অবকাঠামোর যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা প্রায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে চরম। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির হিসাবে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০০’র বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব বাড়িঘর ঠিক করতে চার বছরের মতো সময় লাগবে।

অক্সফাম জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৫টি হাসপাতাল এবং বেশকিছু বিদ্যুেকন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। বিপরীতে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

ইসরায়েলের কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কতগুলো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা নেই। তবে যেসব বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামত করতে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ডলার ব্যয় হবে বলে অনুমান করছে তারা।

অন্যদিকে নাগরিকদের ক্ষতি হওয়া সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণও দিচ্ছে ইসরায়েল সরকার। এরই মধ্যে এ ধরনের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য ৩ হাজার ৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই বাড়ি ঠিক করার জন্য। তবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় রয়েছে ইসরায়েলের অর্থনীতি। কারণ হামাসের রকেট হামলা থেকে নিরাপদে থাকতে বেশির ভাগ কর্মীই কাজে না এসে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। এসব কর্মীকে বেতনও দিতে হচ্ছে। অবশ্য ইসরায়েলের কর কর্তৃপক্ষ বেতন দেয়া বাবদ এবং উৎপাদন কম হওয়ার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।বণিকবার্তা