Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কয়লা মজুদে শীর্ষ ১০ দেশ

কয়লার বৈশ্বিক মজুদের ৮০ শতাংশেরও বেশি রয়েছে মাত্র ১০টি দেশে। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মাইনিং টেকনোলজি। তালিকাটি ২০১২ সালের মজুদ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে করা। ১০-এর শীর্ষ পাঁচ নিয়ে প্রথম পর্ব—download (1)

যুক্তরাষ্ট্র

chardike-ad

২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির মজুদে ছিল ২৩ হাজার ৭২৯ কোটি ৫০ লাখ টন কয়লা। এর পরিমাণ বৈশ্বিক মজুদের এক-চতুর্থাংশ। মজুদের সিংহভাগই রয়েছে মন্টানা, উয়োমিং, ইলিনয়, কেন্টাকির পশ্চিমাঞ্চল, পশ্চিম ভার্জিনিয়া, পেনসিলভানিয়া, ওহাইও ও টেক্সাস। মজুদের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ কয়লার খনি উয়োমিংয়ের নর্থ অ্যান্টিলোপ রোচেলে। কয়লার দ্বিতীয় শীর্ষ উত্তোলনকারী ও ভোক্তা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সালে এখানে উত্তোলন হয় ৯৩ কোটি ৫০ লাখ টন। বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহার হয় প্রায় ৪৩ শতাংশ।

রাশিয়া

কয়লার বৈশ্বিক মজুদের ১৮ শতাংশই ২০১২ সালে ছিল রাশিয়ায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে পণ্যটির মজুদ দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৭০১ কোটি টন। মস্কোর ডানেটস্কি, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের পেচোরা বেসিনস ও কুজনেটস্কি, কানস্ক-আচিনস্কে রয়েছে পণ্যটির বৃহৎ মজুদ। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ কয়লা উত্তোলনকারী দেশের পাশাপাশি পঞ্চম শীর্ষ ভোক্তাও বটে। ২০১২ সালে রাশিয়ায় উত্তোলন হয় ৩৫ কোটি ৯০ লাখ টন কয়লা। চাহিদা ছিল ৯ কোটি ৩৯ লাখ টনের। চাহিদা কম থাকায় উদ্বৃত্ত থেকে যায় বিপুল পরিমাণ পণ্য। এসব পণ্য রফতানির মাধ্যমে মজুদ স্বাভাবিক রাখা হয়। বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ কয়লা রফতানিকারক দেশটি ২০১২ সালে রফতানি করেছিল ১৩ কোটি ৪০ লাখ টন।

 চীন

এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিতে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মজুদ ছিল ১১ হাজার ৪৫০ কোটি টন কয়লা। এর পরিমাণ বৈশ্বিক মজুদের ১৩ শতাংশের মতো। বিশ্বের শীর্ষ কয়লা উত্তোলনকারী দেশের পাশাপাশি ভোক্তাও চীন। দেশটির মজুদকৃত পণ্যের ৭০ শতাংশের বেশি রয়েছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশে। মজুদের দিক দিয়ে চীনের হায়েরউসু খনিটি হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ কয়লার খনি। ২০১২ সালে চীন উত্তোলন করে ৩৫৫ কোটি টন পণ্য। ওই বছর কয়লার মোট বৈশ্বিক চাহিদার ৫০ শতাংশই ছিল চীনের। ৮০ শতাংশেরও বেশি কয়লা ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। শীর্ষ কয়লা উত্তোলনকারী হলেও চাহিদা পূরণে ২০১২ সালে দেশটিকে আমদানি করতে হয়েছিল ২৮ কোটি ৯০ লাখ টন পণ্য। এর মাধ্যমে ওই সময় শীর্ষ কয়লা আমদানিকারকে পরিণত হয় দেশটি।

 অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বব্যাপী কয়লা মজুদের ৯ শতাংশের মতো ২০১২ সালে ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। এ হিসাবে ওই বছর শেষে দেশটিতে পণ্যটির মজুদ দাঁড়ায় প্রায় ৭৬৪ কোটি টন। অস্ট্রেলিয়ায় কয়লার মজুদের সিংহভাগই রয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ডে। দেশটিতে কালো কয়লা উত্তোলনের ৯৫ শতাংশেরও বেশি হয় এ দুই অঞ্চল থেকে। ভিক্টোরিয়ায় আছে দেশটির প্রায় ৯৫ শতাংশ বাদামি কয়লার মজুদ। বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ কয়লা উত্তোলনকারী দেশ এটি। ২০১২ সালে উত্তোলন হয় ৪২ কোটি ১০ লাখ টন পণ্য। অস্ট্রেলিয়ায় কয়লা উত্তোলনের ৯০ শতাংশই রফতানি করা হয়। কয়লা রফতানিতে শীর্ষে থাকা ইন্দোনেশিয়ার পরই এর অবস্থান। ২০১২ সালে রফতানি করে ৩৮ কোটি ৩০ লাখ টন।  দেশটির পিক ডাউন খনিতে রয়েছে পণ্যটির বৃহৎ মজুদ।

 ভারত

এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারতে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মজুদ ছিল ৬০৬ কোটি টন কয়লা। বৈশ্বিক মোট মজুদের ৭ শতাংশই আছে এ দেশটিতে। দেশটিতে মোট মজুদের ৭০ শতাংশেরও বেশি কয়লা মজুদ রয়েছে ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে। অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রও ভারতের উল্লেখযোগ্য কয়লা উত্তোলনকারী রাজ্য। কয়লা উত্তোলনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ভারত। ২০১২ সালে দেশটিতে উত্তোলন হয় ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টন কয়লা, যা বৈশ্বিক উত্তোলনের ৬ শতাংশ। এছাড়া বিশ্বব্যাপী মোট ব্যবহারের ৮ শতাংশই ছিল ভারতের। দেশটিতে কয়লা উত্তোলন হলেও তা চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত নয়। এতে চাহিদা মেটাতে আমদানিতেই গুরুত্ব দিতে হয় দেশটিকে। ২০১২ সালে ভারত আমদানি করে ১৬ কোটি টন পণ্য। কয়লা আমদানিতে শীর্ষে থাকা চীন ও জাপানের পরই রয়েছে ভারত। ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ৬৮ শতাংশই হয় কয়লা থেকে। বণিকবার্তার সৌজন্যে।