Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভারতে বাংলাদেশি সন্ত্রাসীদের সৌখিন জীবনযাপন

indiaবাংলাদেশের অন্তত ৪৩ জন সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থান করছে বলে দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, সর্বশেষ গত মাসে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সঙ্গে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বিজিবি-র পক্ষ থেকে এই ৪৩ জন সন্ত্রাসীর একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়৷ সেই তালিকা ধরে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠাতে অনুরোধ করে বিজিবি৷

chardike-ad

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “ভারতে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে আনতে আমরা তত্পরতা শুরু করেছি৷ পর্যায়ক্রমে সব সন্ত্রাসীকেই ফিরিয়ে আনা হবে।”

ব়্যাব-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, “এই ৪৩ জন সন্ত্রাসীর দেশে থাকা সহযোগীরা বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের হুমকি দিচ্ছে, চাঁদা আদায় করছে৷ প্রয়োজন হলে সীমান্তের ওপারের ফোন নাম্বার ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হুমকিও দিচ্ছে এই সব শীর্ষ সন্ত্রাসী৷ তাই এদের দেশে ফেরানো গেলে চাঁদাবাজি অনেকটাই কমে আসবে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷”

তিনি জানান, এই ৪৩ জন অপরাধীর তালিকা ব়্যাব-এর গোয়েন্দা বিভাগই তৈরি করেছে৷ ব়্যাব-এর ওই তালিকায় দেখা গেছে যে, ১৬টি হত্যা মামলার আসামি মিরপুরের শাহাদত হোসেনের বর্তমান অবস্থান মুর্শিদাবাদ৷ চারটি হত্যা মামলার আসামী আমিনুল ইসলাম মুকুল বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দী রয়েছে৷ ঢাকার নয়াটোলার জিসান ওরফে মন্টু আছে কলকাতায়৷ তার বিরুদ্ধে রয়েছে আটটি হত্যা মামলা৷ আগরতলায় আছে হত্যাসহ ১৩ মামলার আসামি শাহীন সিকদার৷ চট্টগ্রামের খন্দকার তানভির ইসলাম ওরফে জয়-ও আছে কলকাতায়৷ আটটি হত্যাসহ ২৫ মামলার আসামী মোহাম্মদপুরের নবী হোসেন আছে আলীপুর জেলে৷ তিনটি হত্যাসহ সাতটি মামলার আসামী আনোয়ার হোসেন আনু আছে ভারতের গোবিন্দপুরে৷ এছাড়া অন্যান্যদের ব্যাপারেও বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে৷

জিয়াউল আহসান বলেন, “এই তালিকায় ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ তবে তালিকার অধিকাংশই ঢাকার সন্ত্রাসী৷ এরা ভারতে বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে সৌখিন জীবনযাপন করছে৷ সহযোগীরা ঢাকা থেকে যে চাঁদাবাজির টাকা পাঠায়, তা দিয়েই চলছে তাদের জীবন৷ অনেক ব্যবসায়ী ভয়ে সরাসরি ভারতে নির্দিষ্ট সন্ত্রাসীকে টাকা পাঠানোর খবরও পাওয়া গেছে৷ সব কিছু নিয়ে তদন্ত করছে ব়্যাব৷”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী নূর হোসেনের পাশাপাশি ভারতের কারাগারে বন্দি থাকা কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ফিরিয়ে আনতে তত্পরতা শুরু করেছে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নূর হোসেনসহ গ্রেফতারকৃতদের ফেরত পাওয়ার বিষয়টি দেখভাল করছে৷ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷