শেরপুরের সোহাগপুরের ঘটনার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তার ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী। এই সোহাগপুরে গণহত্যার অভিযোগে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে, ২০১৩ সালের মার্চে এই অভিযোগেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার দুপুর একটায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কামারুজ্জামানকে নির্দোষ দাবি করে এই চ্যালেঞ্জ দেন তার ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী। এ সময় কামারুজ্জামানের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই ও শ্যালক উপস্থিত ছিলেন।
হাসান ইকবাল বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি- সোহাগপুরের ঘটনার সঙ্গে আমার বাবার দূরতম সম্পর্ক নেই। তিনি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ। অন্যয়ভাবে সাজানো অভিযোগে তাকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে। আমার বাবা কখনো সোহাগপুরে যাননি। এমনকি রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা ফরমাল চার্জেও সোহাগপুর গণহত্যার সময় সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন মর্মে কোনো অভিযোগ নেই।’
হাসান ইকবাল বলেন, ‘এই মামলায় মূল সাক্ষীর তালিকায় ৪৬ জনের নাম ছিল। তাদের মধ্যে ১০ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার পর নতুন করে তিনজন মহিলাকে অতিরিক্ত সাক্ষী করে আমার বাবার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে আনা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাসান ইকবাল বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় সাক্ষীরা আমার বাবাকে চিনতেনও না। অথচ তাদের কথায় আমার বাবার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। এ রায় ন্যায়ভ্রষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে সোহাগপুরের গণহত্যা নিয়ে সাংবাদিক মামুন-উর রশিদ উক্ত এলাকা পরিদর্শন করে ‘সোহাগপুরের বিধবা কন্যারা’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে অনেক সাক্ষীর সাক্ষাৎকার রয়েছে। তাতে কেউ একবারের জন্যও বলেননি যে, আমার বাবা এ ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।’
হাসান ইকবাল বলেন, তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান তালুকদারের ২০১১ সালের অনুপম প্রকাশনী ‘মুক্তিযুদ্ধে নালিতাবাড়ী’ বইতেও আমার বাবার সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় আমার বাবাকে জড়ানো হয়েছে। রিভিউ আবেদনে আশা করি তিনি খালাস পাবেন।’