Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফেসবুক পেজ কিভাবে ভেরিফাই করবেন?

facebook-page-verification

ফেসবুকে একটা পেজ খোলা কোন ব্যাপারই না – সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। আর যাদের একটু বড় পেজ আছে, তারা সবাই চান নিজেদের পেজগুলো যেন একটু ভেরিফাই হয়ে যায়। তো, কিভাবে করবেন আপনার ফেসবুক পেজকে ভেরিফাইড।

chardike-ad

সত্যি কথা বলতে ফেসবুকে পেজ ভেরিফাই করার জন্য কোন বিশেষ সাইট নেই যেখানে গিয়ে আপনি ভেরিফাই করার জন্য আবেদন করতে পারেন। কেউ যদি আপনাকে সেই কথা বলেও, সেগুলো বিশ্বাস না করাটাই ভাল। ফেসবুক পেজ ভেরিফাই সম্পুর্ন ফেসবুক কতৃপক্ষের উপর নির্ভর করে, কোন ইউজারের উপরে না।

যদিও তেমন বিশেষ কোন উপায় নেই ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করানোর। তবে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো মেইন্টেন করলে আপনার ফেসবুক পেজ ভেরিফাই হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো আমাদের নিজস্ব মতামত। কোন ধরা বাধা নিয়ম না।

প্রথমেই, আপনার ফেসবুক পেজটি কি ক্যাটাগরীর এটা একটু গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। এটি যদি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে ভেরিফাই হতে অনেক সময় লাগতে পারে অথবা কখনও ভেরিফাই নাও হতে পারে। লক্ষ লক্ষ ফ্যান থাকলেও ভেরিফাই নাও হতে পারে। আর ফেসবুক পেজটির ক্যাটাগরী যদি হয় পিপল অথবা কোন ওয়েবসাইট তাহলে ভেরিফাই একটু তাড়াতাড়ি হতে পারে। তবে সেখানেও বেশ কিছু ফ্যাক্টর থাকে।

যাই হোক, পজ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিশেষ কোন ব্যাক্তি হতে হবে অথবা বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠান। আপনার বা আপনার প্রতিষ্ঠানের থাকতে হবে একটি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট যেখানে আপনার ফেসবুক পেজটি লিঙ্ক করা থাকবে। এরপরে উইকিপিডিয়া বা এধরনের রেফারেন্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে আপনাকে বা আপনার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটা উইকি পেজ থাকতে হবে এবং সম্ভবত ফেসবুক এই ব্যাপারটাকে বেশ গুরুত্ব দেয়। তবে অনেকেই এই ব্যাপারে ছাড়ও পেয়ে যান। এছাড়াও ভুয়া কোন তথ্য থেকে থাকলে সেই পেজ ভেরিফাই হবে না কোনদিন। আর আপনি যদি বিশেষ ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকেন আর আপনাকে নিয়ে যদি পত্রিকায় কোন লেখালেখি বা ছবি ছাপা হয়, সেগুলো পেজে নিয়মিত পোস্ট করুন। যে ওয়েবসাইটের ঠিকানা পেজে দেয়া আছে সেই ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত কিছু না কিছু পোস্ট করা উচিৎ। আপনার পেজের কাভার পেজ খুব গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে। বাছাই করা নিজের ডিজাইনের কাভার পেজ বাছাই করুন যেখানে আপনার বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং থাকবে এবং অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি টেক্সট আকারে উল্ল্যেখ থাকবে। একই সাথে টুইটার একাউন্টের ঠিকানাও কাভার ছবিতে দিয়ে দিতে পারেন।

facebook-page-verify
জাফর ইকবাল স্যারের ফেসবুক পেজ; যার পাশে টিক চিহ্ন দেখেই বোঝা যায় যে-পেজটি ভেরিফাইড

ভেরিফিকেশনেরে ক্ষেত্রে যেসব পেজের ক্যাটাগরীতে একটু সুবিধা পেতে পারেন তা হলো – যদি আপনার পেজটি হয় কোন মানুষের পেজ যেমন Public Figure, Actor, Actress ইত্যাদি এবং আপনার পেজে আপনাকে নিয়ে সে ধরনের পোস্টও থাকতে হবে। এরপরে আরেকটি ক্যাটাগরী হয়তো খুব সহজে ভেরিফাই হতে পারে; আর সেটা হলো – Website ক্যাটাগরী। এছাড়াও অন্যান্য ক্যাটাগরীও আছে। তবে আপনাকে অবশ্যই বিশেষ কেউ হতে হবে যেখানে আপনার ব্যাপারে লেজিটিমেট তথ্য পাওয়া যাবে। মানে একজন সেলিব্রিটি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা পাবলিক ফিগার বা আলোচিত কোন প্রতিষ্ঠান।

আপনার পেজটার বয়স কত সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। যদি মাস খানেক আগে খুলে থাকেন তাহলে হয়তো ভেরিফাই হতে অনেক সময় লাগতে পারে। আপনি যদি আপনার পেজের কন্টেন্ট, আউটলুক, About ঠিক মত তথ্য,ঠিকানা, ফোন এসব দিয়ে গুছিয়ে রাখতে পারেন তাহলে ফেসবুক অফিস আপনাকে ভেরিফাই করবার জন্য লিঙ্ক পাঠাতে পারে। মনে রাখবেন পেজের তথ্যগুলো নির্ভুল হতে হবে আর সত্যিকারের প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তিত্ব হতে হবে। পেপার কাটিং টাইপের নিউজগুলো এক্ষেত্রে বেশ কাজ দিতে পারে।

তবে ভেরিফাইড পেজের রিচেবিলিটি সাধারন পেজ থেকে খুব একটা যে বেশী তা বলা যায় না। উনিব আর বিশের তফাত থাকে। আমার মতে এটা কোন ব্যাপারই না। ভেরিফাইড হওয়াটাও আমার মতে কোন মস্ত বড় ব্যাপার না। আপনার ফেসবুক পেজ দিয়ে যদি সবার মন কাড়তে পারেন তাহলে হাজারটা ভেরিফাই পেজের চাইতেও একটা পেজ ভাল যেখানে ফ্যানরা নিজ থেকে আসবে আর এনগেজ থাকবে পেজের কন্টেন্টের সাথে। আর সেটা একমাত্র আপনিই জানেন কিভাবে করবেন।