Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: আহত অর্ধশতাধিক

dhaka-universityঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের মধ্যে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ।

এ ঘটনায় জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওনসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।

chardike-ad

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জিয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান জসীম উদ্দীন হলের দোকানে খেতে গেলে জসীম উদ্দীন হলের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা হামিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জসীম উদ্দীন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা ইমরানকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে।

পরে খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই হল ছাত্রলীগের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষই চাপাতি, রামদা, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ একে অন্যের ওপর আক্রমণ চালায়। এক পর্যায়ে জসীম উদ্দীন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা জিয়া হলে আক্রমণ করে। এ সময় উভয় গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, দুই হলের প্রভোস্ট, পুলিশ এসে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালান।

আহতরা হলেন- জিয়া হলের সহ-সভাপতি যায়েদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জহির, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ, জসিম উদ্দীন হল সহসম্পাদক মাহমুদ, কাওসার আহমেদ, টিটু, ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান, রুস্তম, রানা, নাজির, ইহসান, ইয়াসিন, রিয়াদ, সবুজ, সাদেকুল। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

এ বিষযে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ বলেন, ‘দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা উপস্থিত থেকে সংঘর্ষ থামিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এম আমজাদ আলী বলেন, ‘সামান্য ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এতে প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত আছে তাদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।