মাত্র তিন সেকেন্ডেই ডাউনলোড হবে ১০০ টি ফুল মুভি !

5gমোবাইলে ডাটা ট্রান্সফারে গতির যাবতীয় মাইলফলক ভেঙে চুরে দিয়েছে এক নতুন স্পিডস্টার। সম্প্রতি এই গতি নিয়ে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকরা দেখালেন এক ভোজবাজি। যে জাদুর নাম দেওয়া হলো ফাইভ-জি। প্রচলিত ফোর-জির চেয়ে যার গতি ৬৫ হাজার গুণ বেশি!

কেমন গতি এটা? উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হবে, নতুন এ ফাইভ-জি গতিতে ১০০টি হাই রেজুলেশন সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে মাত্র তিন সেকেন্ডে! অর্থাৎ এর গতি হবে সেকেন্ডে এক টেরাবিট।

সারের ফাইভ-জি ইনোভেশন সেন্টার (৫জিআইসি) জানালো, ব্রিটেন ও ইউরোপে এ প্রযুক্তি ঘরে ঘরে যেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২০ সাল পর্যন্ত।

আগের রেকর্ডটা করেছিল স্যামসাং। তারা অর্জন করতে পেরেছিল সেকেন্ডে ৭.৫ গিগাবিট গতি। যা এই ফাইভ-জির ১ শতাংশেরও কম।

তবে গতির পাগলা ঘোড়ার দৌড় এখানেই শেষ নয়। ৫-জিআইসির পরিচালক রহিম তফাজ্জলি জানালেন, এটা নিয়ে আমাদের মোট ১০টা ব্রেক থ্রু আছে। এক টেরাবিট গতিকে আমরা চাইলে তারবিহীন কাঠামোতেও নিয়ে যেতে পারব। আপাতত ল্যাবের ভেতর ১০০ মিটার দূরত্বে এই গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গবেষকরা বিবিসিকে আরও যা জানালেন- এই গতি পেতে হলে তৈরি করতে হবে হাই-ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম কাঠামো। যার গতি ৬ গিগাহার্টজ হতেই হবে। এক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে ফাইভ-জি মোবাইলগুলোতে ডাটা ট্রান্সফারের গতি হবে ১০ থেকে ৫০ গিগাবিট পার সেকেন্ড। এখনকার ফোর-জিতে পাওয়া যাচ্ছে ১৫ মেগাবিট।

তবে তফাজ্জলি জানালেন, ফাইভ-জিকে ঘিরে এখনও অনেক সমস্যা উৎরে যেতে হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ গতিকে সামলাতে পারবে এমন অ্যাপ্লিকেশনও নিয়ে আসতে হবে। আর ল্যাটেন্সি (মাঝের বিরতি) যত কমে আসবে, ততই তৈরি হবে ফাইভ জি প্রযুক্তির নতুন চাহিদা।