Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ছুটি না পাওয়ায় কারখানার টয়লেটে সন্তান প্রসব

baby
ফাইল ছবি

সুপারভাইজারকে প্রসব বেদনার কথা জানিয়েও ছুটি না পেয়ে কারখানার টয়লেটের ভেতরেই সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী শ্রমিক। কিন্তু প্রসবের পর হতভাগ্য মা বাঁচলেও নাড়িছেঁড়া ধন নবজাতক সন্তানকে বাঁচানো গেল না।

শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

chardike-ad

কারখানার শ্রমিক সূত্র জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর অ্যাপেক্স ফুটওয়ার কারখানার লাস্টিং সেকশনে কাজ করেন নারী শ্রমিক হামিদা আক্তার। তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় শনিবার দুপুরে প্রসব বেদনা অনুভব করেন। এমন অসুস্থতার কথা কারখানার লাস্টিং সেকশনের সুপারভাইজার মো. রতন মিয়াকে জানিয়ে ছুটি চান।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার হামিদাকে ছুটি না দিয়ে উল্টো তাকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করার তাগিদ দেন। এক পর্যায়ে প্রসব বেদনা তীব্র হলে ওই নারী শ্রমিক কারখানার ভেতরের একটি টয়লেটে যান। এরপর তিনি সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ও বাচ্চা প্রসব করেন।

পরে কারখানার হামিদা আক্তারের সেকশনের শ্রমিকরা তাকেসহ নবজাতককে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন।

কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর মডার্ন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নবজাতকটি প্রসবের পরই মারা যান। হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে সন্তানটির মা’ আশঙ্কামুক্ত বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, এ ঘটনার পর শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে সুপারভাইজার রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

কারখানার পরিচালক আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সন্তান প্রসব করা ওই নারী শ্রমিকের এটি নরমাল ডেলিভারি ছিল না। তিনি আগাম ডেলিভারির জন্য নিজেই আগে থেকে ওষুধ সেবন করেছিলেন। তারপরও বিষয়টি আমারা তদন্ত করে দেখছি। আজ রোববার তদন্ত সম্পন্নের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য কারখানার কিছু কর্মকর্তা কুটচালের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে কারখানার শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।