বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মুরিদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে কথিত পীর খোকা মিয়া (৮০) ধর্ষণের অভিযোগে এখন কারাগারে।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ভাষ্যমতে, উপজেলার কামারচট্ট গ্রামের খোকা মিয়ার এলাকায় বহু ভক্ত ও মুরিদ রয়েছে। কয়েক দিন ধরে তিনি ভক্তদের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক মুরিদের বাড়িতে জিকিরের আসর বসার কথা ছিল। এ উপলক্ষে তিনি সকালে ওই মুরিদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর বিশ্রামের জন্য একটি ঘর চান তিনি। ভক্ত অন্ধবিশ্বাসে নিজের ঘরেই বিছানা পেতে দেন। তিনি বিশ্রামে গেলে বাড়ির লোকজন নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই সুযোগে তিনি গৃহকর্তার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া নয় বছর বয়সী নাতনিকে ঘরে ডেকে নেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। শিশুটির আর্তচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার এবং বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আর খোকা মিয়াকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই ও মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ওসি বলেন, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতেই শিশুটির দাদা বাদী হয়ে ওই ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে ২২ ধারায় ওই শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে শিশুটি তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
সুত্রঃ প্রথম আলো