চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রাসেল নামের পাষন্ড স্বামীর হাতে খুন হয়েছে স্ত্রী ও শিশু পুত্র। এ ঘটনায় রাসেলের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে হামলার শিকার হয়েছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
রোববার ফরিদগঞ্জ উপজেলার আদশা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার ৬নং গুপ্টি ইউনিয়নের আদশা গ্রামের হাজী বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাসেল পাশ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলার রাঘরপুর গ্রামের আ: গফুরের মেয়ে ফাতেমাকে দুই বছর পুর্বে বিয়ে করে।
ফাতেমার ভাই মনির হোসেন জানায়, বোন ফাতেমা (২০) তাদের বাড়িতেই ছিল। তার স্বামী রাসেল (২৬) ছিলো ঢাকায়। শনিবার রাসেল বাড়ি আসছে ফাতেমাকে ফোনে এমন খবর দিয়ে বাড়ি যেতে বলে। দশ মাস বয়সি শিশু ফুয়াদকে নিয়ে স্বামী রাসেলের বাড়ি যায় ফাতেমা। রোববার সকালে তারা জানতে পারে ফাতেমা ও তার ছেলের লাশ বাড়ির পাশ্ববর্তী ডোবায় পড়ে রয়েছে।
খবর পেয়ে ফাতেমার বাবা আব্দুল গফুর ও তার স্বজনরা যায় রাসেলের বাড়ি। তারা ফাতেমা ও শিশু ফুয়াদ এর লাশ ডোবায় ভাসতে দেখে। এতে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাসেলের বাড়িতে হামলা চালায় ও আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘপনাস্থলে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় এসআই ইকবাল, কনষ্টেবল শাহজাহানসহ তিনজন আহত হয়। ফরিদগঞ্জ থানা ও চাঁদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে যায়। ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।
এ দিকে সকাল ৭টয় উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউয়িনের সেকদি গ্রামের শাহ্ আলমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকাল ৭টায় নিজ বাড়ির গাছের সঙ্গে তার লাশ ঝুলতে দেখে লোকজন চিৎকার দেয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। কিশোর শাহ্ আলম ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কর্মচারী হিসেবে চাকরী করতো।