ব্যবসা সংক্রান্ত ম্যাগাজিন ‘ম্যানেজার’ জার্মানির পাঁচ শ’ জন শীর্ষস্থানীয় ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে৷এদের মধ্যে শীর্ষ আট ধনীর কথা এখানে দেয়া হলো। জেনে নিন তাদের সম্পর্কে।
প্রথম
বিএমডাব্লিউ কোম্পানির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার তারা, মানে ছবিতে বা পাশে যাকে দেখছেন সেই স্টেফান কুয়ান্ডট ও তার বোন ডান পাশের সুজানে ক্লাটেন৷ মাঝখানের তাদের মা৷
দ্বিতীয়
গেওর্গ শ্যেফলার ও তার মা মারিয়া-এলিজাবেথের কোম্পানির নাম আইএনএ শ্যেফলার৷ তারা বল বেয়ারিং তৈরি করে থাকে৷ ২০১৫ সালে কোম্পানির টার্নওভার ২২ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
তৃতীয়
আলডি৷ এটি একটি সুপারমার্কেট ব্র্যান্ড৷ অল্প দামে পণ্য বিক্রি করে তারা৷ কার্ল আলব্রেশ্ট-এর তৈরি প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে ভেঙে আলডি জ্যুড ও আলডি নর্ড হয়ে যায়৷ চলতি বছরে আলডি জ্যুড এর টার্নওভার হবে প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউরো৷ ফলে কোম্পানিটির বর্তমান দুই মালিক কার্ল আলব্রেশ্ট জুনিয়র ও বেয়াটে হাইস্টার-এর নাম এখন জার্মানির সবচেয়ে ধনী পরিবারের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে৷
চতুর্থ
বিখ্যাত কোম্পানি রেকিট-বেঙ্কিসার সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে শেয়ার আছে রাইমান পরিবারের৷ তাদের অনেক পণ্যের মধ্যে আছে নকল দাঁতের জন্য তৈরি বিভিন্ন পণ্য৷ চলতি বছরে এই পরিবারের আয় এখন পর্যন্ত ১৭.৬ বিলিয়ন ইউরো৷
পঞ্চম
তালিকার তিন নম্বরে থাকা আলডি-র মতোই সুপারমার্কেট হচ্ছে লিডল৷ সাম্প্রতিক বছরে আলডিকে বেশ ভালো প্রতিযোগিতার মুখোমুখি করেছে তারা৷ ডিটার শোয়ারৎস-এর এই কোম্পানি এ বছর ইতিমধ্যে ১৭ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে৷
ষষ্ঠ
ছবির বামপাশের লোগোটি একটু আগেই দেখেছেন৷ ওই কোম্পানি সম্পর্কে পড়েও ফেলেছেন৷ সেসময়ই জানতে পেরেছেন এক সময়ের আলডি কোম্পানি এখন দুটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে৷ তার একটি আলডি নর্ড৷ চলতি বছর তাদের টার্নওভার ১৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে৷
সপ্তম
ব্রেক তৈরি করে এমন এক কোম্পানি ‘ক্নর-ব্রেমসে’৷ ছবিতে এই কোম্পানির মালিক হাইনৎস-হেয়ারমানকে দেখতে পাচ্ছেন৷ ২০১৫ সালে এই কোম্পানির টার্নওভার দাঁড়িয়েছে সাড়ে নয় বিলিয়ন ইউরোতে৷
অষ্টম
অ্যামাজন আসার আগে জার্মানিতে পণ্য ডেলিভারির একচেটিয়া ব্যবসা করতো অটো ফেরসান্ড৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানিতে ভ্যার্নার অটো-কে (ছবিতে যাকে দেখছেন) উদ্যোক্তাদের জনক মনে করা হতো৷ অ্যামাজনের আবির্ভাবে ব্যবসা কমে গেলেও এখনও কোম্পানির আয়ের পরিমাণ প্রায় নয় বিলিয়ন ইউরো৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
