দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘দ্য টার্মিনাল হাই-অলটিচুড এরিয়া ডিফেন্স’ (থাড) কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা। এখন থেকে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলা করতে পারবে এটি।
তবে ব্যবস্থাটি পূর্ণরূপে কার্যকর করতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে বলেও জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বারবার হুমকি, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং মার্কিন রণতারী ও সাবমেরিন মোতয়েনের প্রেক্ষাপটে কোরীয় উপদ্বীপে চলছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপন করল যুক্তরাষ্ট্র।
এরই মধ্যে অবস্থান কিছুটা নমনীয় করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের সাক্ষাৎ পেলে সম্মানিত হবেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ করাই যথাযথ হয়, তবে অবশ্যই আমি তা করবো। এটা করতে পারলে আমি সম্মানিত বোধ করব।’ বর্তমান পরিস্থিতিতেও কিমের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি আছেন বলেও জানান এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার হুমকি দিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। জবাবে কোরীয় উপদ্বীপ এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন।
২৭ এপ্রিল রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে বলেছি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাড মোতায়েনের পুরো খরচ তাদেরই দেয়া উচিত। এর খরচ প্রায় ১০০ কোটি ডলার। এটার কার্যক্ষমতা অসাধারণ। আকাশে থাকা অবস্থায় শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুযায়ী এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ দিয়েছে সিউল। সেক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা মোতায়েন রাখার খরচ যুক্তরাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নিন্দা জানিয়েছেন মুন জায়ে-ইনও। পরবর্তী প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানান তিনি। উদ্বেগ জানিয়েছে চীনও।