Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘কাতারের বিমান নিষিদ্ধ করা অবৈধ’

qatar-airlinesনিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন কাতারের বিমানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ)। একই সঙ্গে কাতারের বিমানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আইএটিএ চুক্তির শর্ত অনুসারে সংস্থার সদস্য দেশগুলো অন্য সদস্য দেশের বিমানের ওপর এভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না। তবে সৌদি এই চুক্তিতে সই না করায় তারা নিষেধাজ্ঞা বৈধ হলেও মিশর, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করেছে আইএটিএ।

chardike-ad

এদিকে প্রতিবেশি দেশগুলোর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কাতার এয়ারওয়েজ এর বিমানগুলো এখন ইরানের আকাশ সীমা দিয়ে চলাচল করছে। তবে বিকল্প এই রুটে চলাচল করতে অতিরিক্ত পথ ভ্রমণ করতে হচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজ এর বিমানগুলোকে। ফলে পুড়ছে অতিরিক্ত জ্বালানি। এই বাড়তি ব্যয় বিমান সংস্থাটিকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা।

উল্লেখ, গেল সপ্তাহে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণার সময়ই সৌদি আরব, মিশর, আরব আমিরাত ও বাহরাইন দেশটির সঙ্গে আকাশ ও নৌপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ঘোষণার পরপরই দেশগুলো কাতার এয়ারলাইনসের ওপর তাদের আকাশ সীমানা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তবে কাতার এই পদক্ষেপকে বিবেচনা বর্হিভূত সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। দোহার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেট বা ব্রাদারহুডের সঙ্গে তাদের কোনো আতাত নেই। তারা কোনো চরমপন্থী সংগঠনকে মদদ দিচ্ছে না।

তবে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়াত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, সন্ত্রাসের হাত থেকে সৌদির জাতীয় সুরক্ষাকে নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।কাতারের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসলামী চরমপন্থীদের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালেও একবার সৌদি আরবের নেতৃত্বে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে আবুধাবী ও সংযুক্ত মানামা।

রিয়াদের অভিযোগ, সৌদির কোয়াতিফ প্রদেশ এবং বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থ ও তথ্য দিয়ে মদদ দিচ্ছে কাতার। কাতারের এই কর্মকাণ্ড দেশগুলোর নিরাপত্তা ও ঐক্য ধ্বংস করছে।

এর কয়েক দিন আগেই সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি ও সহায়তার অভিযোগে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা নিষিদ্ধ করে। তখন অভিযোগ করা হয় কাতারের রাষ্ট্রীয় মদদে আল জাজিরা ইসলামীক স্টেট, ব্রাদারহুড ও আল কায়দার মতো সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছে।

তখন বলা হচ্ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টানাপড়েনের কারণে সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে কাতার।